83 wins hearts not Box Office বিশ্বকাপ জয় হলেও বক্স অফিস জয় অধরা
সাম্যজিৎ ঘোষ, ইন্জিয়া নিউজ বাংলাঃ ১৯৮৩। সেবার বিশ্বকাপ জয় হয়েছিল। কিন্তু এবার বক্স অফিস জয় অধরা। প্রথম থেকেই প্রত্যাশার শিখরে ছিল ‘৮৩। ছবির লুক ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রণবীর সিংয়ের কপিল দেব হয়ে ওঠা, তিরাশির নস্টালজিয়া, দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর যুগলবন্দিও প্রত্যাশার পারদ ছুঁতে পারল না। অন্তত বক্স অফিসের হিসেবে এখনও দারুণ সফল বলা য়াচ্ছেনা, জানাচ্ছেন সিনে ট্রেড বিশেষজ্ঞরা। মুক্তির প্রথম তিন দিনে সারা ভারতে ‘83’র রোজগার মাত্রই ৪৭ কোটি টাকা।
অন্য দিকে দক্ষিণী ছবি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ়’ মুক্তির দশ দিন পরেও হল ভরাচ্ছে। অল্লু অর্জুন অভিনীত ছবিটি প্রথম সপ্তাহে ১৭৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। তবে এই লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে মার্ভেলের ‘স্পাইডার-ম্যান নো ওয়ে হোম’। প্রথম তিন দিনেই কামিয়েছে ১০০ কোটি! এটা প্রত্যাশিত থাকলেও ‘৮৩-র ব্যবসায় অবাক ট্রেড অ্যানালিস্টদেরও। দর্শক যে অপছন্দ করছেন, তাও নয়। তোমন কোনও নেতিবাচক সমালোচনাও নেই, তবুও সবাই অবাক কবীর খান পরিচালিত ‘এইটিথ্রি’র ব্যবসায় চারৃছক্কার ফুলঝুরি পাওয়া যায়নি। হল ফেরত দর্শকরাও উচ্ছ্বসিত। কবীর খানের এই ছবি নিয়ে কিন্তু উচ্ছ্বসিত সমালোচকরাও। তবুও কেন বক্স অফিসে ম্যাজিক করতে পারছে না? ট্রেড অ্যানালিস্টদের একাংশের মতে, মশালা বিনোদনের ফর্মুলায় হিট হয়েছে অক্ষয়কুমারের সূর্যবংশী, কিন্তু ‘83’ তা নয়। গল্পটা অতি পরিচিত। শুধু আবেগের বশে ভেসে গিয়ে অনেকেই এই অতিমারি আবহে আর সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখতে চাইছেন না হয়তো। অনেকের কাছেই বিষয়টি এমন যে, দুদিন পরেই কোনও না কোনও ওটিটি প্লাটফর্মে রিলিজ হয়ে গেলে দেখে নেওয়া যাবে। ফলে সেই আবেগ আর নতুন প্রজন্মকে আকর্ষণ করতে পারছে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আর এখানেই টেক্কা মারছে বাকি সিনেমাগুলো। উৎসবের মরসুমে পার্টি মুডে দর্শকরা চাইছেন মশালাদার, বিনোদন। মার্ভেলের গল্পের মোচড় তাই সহজেই ১০০ কোটির ব্যবসা এনে দিতে পেরেছে। 83 সেটা পারেনি।