লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা সম্পন্ন। বাকি রয়েছে আর দু’টি দফা। এই আবহেই ফের একবার বঙ্গে প্রচারে আসতে চলেছেন (PM Modi in Bengal) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাপস রায়ের সমর্থনে উত্তর কলকাতায় প্রচার সারবেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী ২৮মে উত্তর কলকাতায় রোড শো করবেন মোদী। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, শ্যামবাজার থেকে কাশীপুরের দিকে রোড শো করবেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত তা চূড়ান্ত কিনা তা নিশ্চিত নয়। এরপরে ২৯ মে বারাসত এবং বারুইপুর, দু’জায়গাতে দু’টি রোড শো রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য়, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই তৃণমূলের দীর্ঘদিনের নেতা এবং বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দেন। আর তারপরেই তাঁকে বিজেপির তরফ থেকে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়। এদিকে শোনা যাচ্ছে, মোদীর রোড শো-এর (PM Modi in Bengal) পরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও রোড শো করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন : Bharat Sevashram Stirs Row: রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের অপমান বরদাস্ত নয়: মমতাকে হুঁশিয়ারি মোদীর
একদিকে যেখানে নির্বাচন এবং নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কার্যত সম্মুখ সমরে তৃণমূল এবং বিজেপি, ঠিক সেখানেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কার্যত ‘অস্বস্তি’তে তৃণমূল শিবির, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সম্প্রতি মমতা বলেন, ‘সব সাধু সমান হয় না, সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি সবাই সমান? সমান নয়। এই যে বহরমপুরে একজন মহারাজ আছেন, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সংঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। কিন্তু যে মানুষটা বলে আমি তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, তাকে আমি সাধু বলে মনে করি না।’
এরপরেই বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (PM Modi in Bengal)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে আইনি চিঠি পাঠান ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)।
আরও পড়ুন : Kartik Maharaj : বিতর্কিত মন্তব্যের জের, মমতাকে আইনি নোটিস পাঠালেন কার্তিক মহারাজ
কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) বিরুদ্ধে রাজনৈতিক যোগের অভিযোগ এনেছিলেন মমতা। কার্তিক মহারাজের দাবি, এই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে তিনি শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। এছাড়া, তিনি এও জানিয়েছেন সন্ন্যাসীদের নিয়ে বলা মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে তিনি মামলাও করবেন। এমতাবস্থায় নির্বাচনে আদৌ পায়ের তলার জমি ফিরে পাবে তৃণমূল? এই প্রশ্ন এখন অনেকের মনেই যেন উঁকি দিচ্ছে।