বাংলার মূর্তি হোক বা বাংলার অলঙ্কার, বিশ্বে সমাদৃত বাংলার বিভিন্ন জিনিস। আর আমের তো কথাই নেই। এবার উজবেকিস্তানে গেল নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ার মথুরাপুরের আম। নদিয়ার মাটি প্রধানত বিখ্যাত শ্রীচৈতন্যদেবের বিশ্বজোড়া হরিনামের প্রেমের বাণী প্রচার করার জন্য। সময় যত এগিয়েছে গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে তত জল। বর্তমানে আন্ত-বাণিজ্যিক সম্পর্কে কখনও নদিয়ার লিচু পৌঁছে যাচ্ছে আফগানিস্তানে তো কখনও আবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের হিমসাগর আম চলে যাচ্ছে উজবেকিস্তানে।
এলাকার এক স্থানীয় (Nadia) আম চাষী বিদ্যুৎ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, রিসার্চ এগ্রো বায়ো কোম্পানি উজবেকিস্তানের একটি কোম্পানিকে এনেছিল কৃষ্ণগঞ্জ মাজদিয়ার মথুরাপুরের আম বাগানে। আম বাগানে এসে তাঁরা বায়ো পেস্টিসাইডস পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ১০টি আম গাছের ফলনের দিকে নজর দেন। তাঁরা বলেছিলেন আমের ফলন যেমনই হোক না কেন তাঁরা সমস্ত আম নিয়ে যাবেন। কোনওভাবেই কীটনাশক ঔষধ আমের ফলনে ব্যবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুন : Loksabha Election 2024: বুথ নাকি অনুষ্ঠানবাড়ি! নজর কাড়বে গড়িয়ার Pink Model Booth
অনাবৃষ্টি এবং প্রখর দাবদাহে অন্যবারের তুলনায় এবারে আমের ফলন যথেষ্ট কম হলেও এই দশটি গাছে আমের মোটামুটি ভালই ফলন হয়েছে। শুধু তাই নয় আম চাষী আরও জানালেন বাজারে কেজি প্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে হিমসাগর আম। সেখানে এই হিমসাগর আম ডবল দাম দিয়ে তাঁরা নিয়ে গিয়েছেন, অর্থাৎ কেজি প্রতি হিমসাগর আম ১২০ টাকা দামে তাঁরা কিনে নিয়েছেন।
একদিকে যেমন আম চাষীরা ডবল লাভের মুখ দেখছেন তেমনই নদিয়ার (Nadia) আম বিদেশের মাটিতে বিদেশি মানুষদের রসনার তৃপ্তি করছে এটি যথেষ্ট গর্বের বিষয় বলে তাঁরা মনে করছেন। জানা গিয়েছে, আগামী বছরও ওই কোম্পানি এখানে আসবে এবং আরও অনেক বাগান থেকে এভাবেই আম কিনবে। নদিয়ার আম বিদেশে যাওয়াই খুশি আমচাষী সহ জেলার বাসিন্দারা।