ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
তামিলনাড়ুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন সস্ত্রীক প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত সহ আরও ১১ জন সেনা আধিকারিক। সেই দুর্ঘটনায় একই সঙ্গে প্রাণ হারান CDS বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী সতপল রাই। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের তাকদার বাসিন্দা ছিলেন সতপল।রবিবার তার মরদেহ তাকদায় আসার পর আজ সকালে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আজ শেষ শ্রদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সতপলের পুরো পরিবার। তাঁর মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান। পাশাপাশি তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও শিলিগুড়ি পুর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান গৌতম দেব। শহীদের কফিন বন্দী দেহতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তারা। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেনা-জওয়ান অফিসাররা। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গতকালই শহীদ সতপলের দেহ শিলিগুড়ির বাগডোগরা হয়ে ব্যাঙডুবির সেনাছাউনিতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সতপল রাইয়ের। শনিবার দিল্লি সেনা হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সতপলের দেহ শনাক্ত করা হয়। তাঁর পরিবারকেও নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। সেখান থেকেই রবিবার সকালে নিজের বাড়িতে কফিনবন্দি হয়ে ফিরেছেন সতপল।ভয়াবহ ওই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে যাঁরা পড়েছিলেন তাদের বেশিরভাগের দেহই আগুনে ঝলসে গিয়েছিল। এমনকী প্রাথমিকভাবে দেহগুলি সনাক্তকরণেও সমস্যা হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত এবং ব্রিগেডিয়ার লখিন্দর সিং লিড্ডারের দেহ সনাক্ত করা গিয়েছিল। বাকিদের নিথর দেহ দিল্লির সেনা হাসপাতালে রাখা ছিল এবং পরিবারের সদস্যদের দেহগুলি সনাক্ত করার অনুরোধ করেছিল সরকার।
জানা গিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় নিহত ছয় সেনা আধিকারিক, ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার প্রদীপ, উইং কমান্ডার পিএস চৌহান, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রানা প্রতাপ দাস, ল্যান্স নায়েক বি সাই তেজা এবং স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিংয়ের দেহ ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে তাদের দেহগুলি বিমানকে করে তাদের বাড়ির নিকটবর্তী বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হবে। দেহগুলি পাঠানোর আগেই সেনা হাসপাতালে তাদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। প্রসেনজিৎ রাহার রিপোর্ট ।