সম্পূর্ণ মণিপুর জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে। তার মধ্যেই ছড়িয়েছে দ্বিগুন উত্তেজনা। ইম্ফলে ডিসি অফিসে হঠাৎ করেই হামলা চালাল উত্তেজিত জনতা। ডিসি অফিস ভাঙচুর করে গাড়িতে অগ্নি নিক্ষেপর ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অসংখ্য জনতা।মণিপুরে গতকাল সিবিআইয়ের একটি টিম পৌঁছেছে। তাঁরা পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করতে গেছেন। কয়েকদিন আগে মণিপুরে দুজন মেইতেই সম্প্রদােয়র পড়ুয়াকে নির্মম ভাবে হত্যা করার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যার নেপথ্যে কুকি সম্প্রদায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মণিপুরের ইম্ফলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কুকি সম্প্রদায়ের হাতে দুজন মেইতেই সম্প্রদায়ের পড়ুয়ার হত্যার ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা চরমে। জুলাই মাস থেকে নিখোঁজ ছিল দুই পড়ুয়া। তাদের একজনের বয়স ১৭ বছর আরেকজনের বয়স ২০ বছর বলে জানা গেছে। দুই পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক হতে পারে আঁচ করে, আগেই মনিপুর সরকার ইম্ফলে কার্ফু জারি করেছে। কিন্তু কার্ফু উপেক্ষা করেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। দুই পড়ুয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে তারা। জানা গেছে মণিপুরের ডিসি অফিস ভাঙচুর করা হয়। ডিসি অফিসে হামলা চালানোর পর অফিসের বাইরে রাখা গাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নি নিক্ষেপ করে উত্তেজিত জনতা। উরিপক, আইসকুল, সাগলবাদ, টেরা এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের উপরে হামলা চালানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একাধিক জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা।ইম্ফলের পূর্ব এবং পশ্চিম জেলায় আধা সেনা নামানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। এদিকে আজ মণিপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে সেনাবাহিনী। লুঠ হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের জন্যই চলছে চিরুণি তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত ৩০ শতাংশ লুঠ হওয়া অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।