রাজ্য এনসেফেলাইটিস শেষ করার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। গোরক্ষপুরে এমনটাই জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এ ব্যাপারে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বি আর ডি মেডিক্যাল কলেজে বিশেষ সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ অভিযানের উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি ডেঙ্গু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে ভর্তি থাকা রোগীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবরও নেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিভিন্ন সরকারি দফতরের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উত্তর প্রদেশ এখন এনসেফেলাইটিস শেষ করার দ্বারপ্রান্তে। খুব শীঘ্রই নির্মূলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। উত্তর প্রদেশকে এনসেফেলাইটিস নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পর্যায়ের সফল মডেল হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সরকার ২০১৭ সাল থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, এনসেফেলাইটিস, কালাজ্বর ও চিকুনগুনিয়ার মতো সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ প্রচারাভিযান চালাচ্ছে। সেগুলি ভাল ফল দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। উত্তর প্রদেশ সরকার বছরে তিনবার সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তঃ বিভাগীয় সমন্বয় প্রচারাভিযান পরিচালনা করে। তিনি বলেছেন ১৬ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগীদের সনাক্ত করবে এবং সমস্ত বাড়িতে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৭ সালের আগে, বি আর ডি মেডিক্যাল কলেজে ৫০০ থেকে ৬০০ জন এনসেফেলাইটিসের রোগী ভর্তি হত। প্রতি বছর সারা রাজ্যে ১২০০ থেকে ১৫০০ শিশু এই রোগের কারণে মারা যেত। এখন এই রোগ এবং মৃত্যু ইতিহাস হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, যদি সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকে এবং জনগণ সহযোগিতা করে, তাহলে সবকিছুই সম্ভব। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একটি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর ভারত গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। এই লক্ষের সঙ্গে সামঞ্চস্য রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২ অক্টোবর ২০১৪-তে স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করেছিলেন। ফলস্বরূপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে একটি অসাধারণ জনসচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে। আজ প্রতিটি বাড়িতে একটি টয়লেটের অ্যাক্সেস রয়েছে। তিনি বলেছেন, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ২০০৫ সালের মধ্যে যক্ষা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর আহ্বানে সবাইকে কাজ করতে হবে।