উপচার্য নিয়োগ বিতর্ক আরও একটু উস্কে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বাংলাকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে আচার্য নিয়োগ করে তিনি কোনও ভাবেই বেআইনি কাজ করেননি। এক কথায় প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ ।
বাংলায় ভিডিও বার্তায় নিজের মতামত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে দুর্নীতি ও হিংসা মুক্ত করার লড়াই আমি শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাবো। অনেক উপাচার্যদের নামে অভিযোগ ছিল, সেই কারণে রাজ্য সরকারের মনোনিত কাউকে উপাচার্য করিনি’। আচার্য হিসাবে উপাচার্য নিয়োগ বৈধ সেটা স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্যপাল
তিনি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই রাজ্য সরকারের নিয়োগ করা উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একাধিক কাজ করায় সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। সেই কারণে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন তিনি। এবং কলকাতা হাইকোর্টও এই নিয়োগকে বৈধ বলে জানিয়েছে।
৫ জন উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তাঁরা নাকি জানিয়েছিলেন যে রাজ্যের শিক্ষা দফতর এবং আইএএস অফিসাররা তাঁদের উপর চাপ তৈরি করেছিল এই পদত্যাগের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি মুক্ত করতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন। যাদবপুরেও সেই একই ঘটনাই ঘটেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাতারাতি রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। তাই নিয়ে প্রকাশ্যেই বিক্ষোভ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ বেআইনি এবং অবৈধ বলে আক্রমণ জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থনৈতিক অবরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী রাজভবনের সামনে ধরনায় বসার হুঙ্কারও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ।
রাজ্যপালের ভিডিও বার্তার পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু ব্যানার্জী অভিযোগ করেছেন, বিজেপিকে খুশি করতেই তিনি এই সব কাজ করছেন। রাজ্যের তিন বছরের নির্বাচিত সরকারকে প্রতি পদে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের মানুষ তাঁর কোনও অবৈধ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।