Saturday, July 27, 2024
Homeওয়েস্ট বেঙ্গলRail employees body recovered at Alipurduar রেলগেটের অদূরেই কর্তব্যরত গেটম্যানের ক্ষতবিক্ষত দেহ,...

Rail employees body recovered at Alipurduar রেলগেটের অদূরেই কর্তব্যরত গেটম্যানের ক্ষতবিক্ষত দেহ, তীব্র চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে

অনিসা পোদ্দার, আলিপুরদুয়ার, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : কর্তব্যরত রেলকর্মীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ রেললাইনে থেকে উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের মাঝেরডাবরি এলাকায়। মৃত রেলকর্মী তাপস মল্লিক (৪০) বুধবার রাতে মাঝেরডাবরির ১১১ নং রেলগেটের কেবিনে কর্মরত ছিলেন।

রেল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন ট্রেন ওই গেট দিয়ে পাস করার সময় গেটম্যানের পক্ষ থেকে সিগন্যালের কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছিল না। কর্তব্যরত তাপস মল্লিক ঠিক আছেন কিনা তা জানতে মুহূর্তের মধ্যেই ১১১ নং রেলগেটের কেবিনে ছুটে আসেন অন্যান্য রেলকর্মীরা। ঘটনাস্থলে তারা দেখতে পান কেবিন থেকে ৩০০ মিটার দূরে রেললাইনে পড়েছিল তাপসের রক্তাক্ত মৃতদেহ। কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাপসবাবুকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে দাবি রেলকর্মীদের।

গেটম্যানের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার মাঝেরডাবরির ১১১ নং রেলগেটে (Rail employees body recovered at Alipurduar)

অপর এক গেটম্যান, রেলকর্মী সঞ্জীব কুমার মজুমদার জানান, ‘সম্ভবত গেট বন্ধ নিয়ে কোনও ঝামেলা হয়েছিল। গেট বন্ধ থাকার কারণে জনসাধারণের ধৈর্যের অভাব। এই গেট পুরোটাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এটা পুরোটাই তারের গেট। অনুরোধ করার পরও আমরা হঠাৎ করে গেট খুলতে পারি না। তারা তো বোঝে না শামুকতলা এন্ড বা জংশন এন্ড থেকে গাড়ি আসলে আমাদের কিছু করার থাকে না। গভীর রাতে নেশাগ্রস্ত মানুষজনের আনাগোনা বেশি থাকে। সেই থেকে হয়তো এত বড় ঘটনা ঘটেছে। কোনও রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

এর আগে মাস সাতেক আগেও এই কেবিনে কর্মরত রেলকর্মী প্রভাতচন্দ্র গোপকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছিল। সাত মাস চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন কিন্তু দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা রয়ে গেছে। বুধবার গভীর রাতে আবারও একই ঘটনা মাঝেরডাবড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১১ নং রেলগেটে ঘটায় উদ্বিগ্ন রেলকর্মী থেকে প্রশাসন। এদিন সকালে রেলের আধিকারিকরা এসে তাপস মল্লিকের রক্তাক্ত মৃতদেহ তুলে নিয়ে যান।

Published by Subhasish Mandal



SHARE
RELATED ARTICLES
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it

Most Popular