ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ যেন পিছু ছাড়ছে না কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধীদের বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। শনিবার তুফানগঞ্জ অন্দরান ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা মারাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ, মারধর করা হয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে। রবিবার প্রকাশ্যে আসে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ।
কী অভিযোগ?
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাইক বাহিনী অন্দরান ফুলবাড়ী ১ পঞ্চায়েত সদস্যা দিপালি পালের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তুফানগঞ্জ ১ B তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রদীপ বসাক বলেন, সমস্তটাই ভিত্তিহীন। অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে অন্দরান ফুলবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছিল না, তাই ১১ তারিখ সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরেছিল। শনিবার বিধায়ক মালতি রাভা সেই অঞ্চল অফিস খুলেছে, পুনরায় আবার সাধারণ মানুষ তাতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের এই অপকর্মকে ঢাকতে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে বিজেপি।
আরও পড়ুন : Post-Poll Violence : পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল
তিনি আরও বলেন, “২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল ‘বদলা নয় বদল চাই’, এই নীতিতেই সাধারণ কর্মীরা চলে।” যদিও সিসিটিভি ফুটেজ সম্পর্কে তিনি বলেন, “জনগণ যদি হামলা চালায় এর এর দায় তো তৃণমূল কংগ্রেসের নয়।”
এদিকে, কোচবিহারে (Cooch Behar) গিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান দলের কর্মী-সমর্থকরা। ভোট পরবর্তী অশান্তিতে বৃহস্পতিবার ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও, পুলিশের বাধার মুখে ফিরে আসতে হয় বিরোধী দলনেতাকে। এ নিয়ে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। এরপর শনিবার কোচবিহারে গিয়ে ঘরছাড়া দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী।