শম্ভুনাথ মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: GPS transmitter on tortoise’s body বাঘের পর এবার কচ্ছপের শরীরে জিপিএস ট্রান্সমিটার ব্যবহার করেছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। বাটাগুড় বাসকা বা পোড়া কাঠা নামক এক বিশেষ ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপের শরীরে এই রেডিও ট্রান্সমিটার বসিয়ে বুধবার সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে ছাড়া হল। এই বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির কচ্ছপের গতিবিধি, বংশ বিস্তার এবং পরিবেশের সাথে কীভাবে এঁরা সামঞ্জস্য রক্ষা করছে সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতেই এদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প।
বন দফতর সূত্রে খবর, একসময় সুন্দরবন থেকে শুরু করে মায়নমার, থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া উপকূল পর্যন্ত এই বিশেষ ধরনের কচ্ছপের বসতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই প্রজাতির কচ্ছপ বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে। বেশ কিছু বছর আগে, আনুমানিক ১৯৯৫-৯৬ সালে বন দফতরের তরফ থেকে সমুদ্র তীর থেকে অলিভ রিডলে বা সামুদ্রিক কাঠা প্রজাতির কচ্ছপের ডিম সংগ্রহ করে তা ফোটানো হয়। কিন্তু সেই নবজাতক কচ্ছপগুলির মধ্যে বাটাগুড় বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের সন্ধান পায় বন দফতর। সেই থেকেই এই বাটাগুড় বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের সংরক্ষণ শুরু করে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প।
গতিবিধি, বংশ বিস্তারের খোঁজ নিতেই উদ্যোগ GPS transmitter on tortoise’s body
আরও পড়ুন :Tax exemption only if vaccinated ভ্যাকসিন নিলেই ট্যাক্সে ছাড়! নয়া উদ্যোগ দক্ষিণ দমদম পৌরসভার
সুন্দরবনের সজনেখালিতে আলাদা একটি পুকুর তৈরি করে সেখানেই বেশ কিছু বছর ধরে এই কচ্ছপ সংরক্ষণ ও তার প্রজনন করে চলেছে ব্যাঘ্র প্রকল্প। মাত্র ১২টি কচ্ছপ থেকে বংশবৃদ্ধি হয়ে বর্তমানে ৩৭০টি বাটাগুড় বাসকা প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে ব্যাঘ্র প্রকল্পের কাছে। তবে বংশবৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে বর্তমানে সজনেখালির পাশাপাশি দোবাঁকি, খাটোয়াঝুড়ি ও হরিখালিতে এদের সংরক্ষণ ও প্রজননের ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রজননে সক্ষম এইরকম বেশ কিছু বাটাগুড় বাসকা প্রজাতির দশটা কচ্ছপকে সুন্দরবনের নদীতে এদিন ছাড়া হল। যার মধ্যে ৭টি স্ত্রী ও ৩টি পুরুষ কচ্ছপ রয়েছে। এদের গতি প্রকৃতির উপর নজরদারি চালাতে দশটি কচ্ছপের শরীরেই জিপিএস ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে। এরফলে বিলুপ্ত প্রায় এই প্রজাতির কচ্ছপ সম্বন্ধে আরও অনেক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
—–
Published by Subhasish Mandal