এখনও শীত পড়েনি, দীপাবলিতে আতসবাজি পোড়ানোও হয়নি, কিন্তু এরই মধ্যে দিল্লিতে কার্যত ‘দমবন্ধ’ পরিস্থিতি। আসন্ন কালীপুজো দীপাবলির আগে ফের দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।
দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, দূষণ কমানোর জন্য ইতিমধ্য়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৩টি হটস্পট এলাকায় ৮০টি অ্যান্টি-স্মগ গান ইনস্টল করা হয়েছে। দিওয়ালির আগে দিল্লির লাগামছাড়া দূষণে চাপে আম আদমি সরকার।
আরও পড়ুন: Yamuna Pollution: বিষাক্ত ফেনায় ঢেকেছে যমুনা, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
এদিকে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষিজমিতে ফসলের গোড়া আর খড়বিচালি পোড়ানোর কারণে দিল্লিতে দূষণ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়েছে কেন্দ্র। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনকে সংশোধনের মাধ্যমে ‘শক্তিহীন’ করে তুলেছে সরকার। সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, ১০ দিনের মধ্যেই এই আইনকে চূড়ান্ত রূপ দিয়ে তাকে প্রয়োগ করা হবে।
দিল্লির বাতাসের গুণগত মান
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ছিল ৩১৭। অক্ষরধাম মন্দির, আনন্দবিহার, কালকাজি, নেহরু প্লেস-এর মতো এলাকাগুলিতে বাতাসের গুণগত মান ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (সফর)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মান ০-৫০ থাকলে ভাল, ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ এবং খুব খুব খারাপ হল ৪০১-৫০০।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বাতাসের গুণগত মান নিম্নগামী হতে থাকায় দূষণ রোধে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (গ্র্যাপ)-২ লাগু করেছে দিল্লি সরকার। এক্ষেত্রে ১১টি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে দিল্লি এবং এনসিআরে। এর মধ্যে রয়েছে, রাস্তাগুলিতে যান্ত্রিক উপায়ে পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত জল ছেটানো। এছাড়া, নির্মাণকাজ হচ্ছে এমন এলাকাগুলি থেকে যাতে দূষণ না ছড়ায় তা নজরদারি চালানো, জরুরি পরিষেবা ছাড়া ডিজেলচালিত জেনারেটরে নিষেধাজ্ঞা। এর পাশাপাশি হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং খোলা খাবারের দোকানগুলিতে কাঠকয়লার ব্যবহার বন্ধ করার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।