সামনেই উতসবের মরশুম! ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই কাউন্টডাউনও। আর সেই উৎসবের মরশুমে রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের জন্যে বড়সড় ঘোষণা করলেন মমতা ব্যানার্জী। এক ধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেলো বেতন এবং ভাতা। আজ বৃহস্পতিবার বাদল অধিবেশনের শেষ দিন ।
আর সেখানেই একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এর মধ্যেই মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করলেন তিনি। যদিও নিজের বেতন বাড়াননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর টাকাটা রেখে দেওয়ার প্রস্তাব জানান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই দাবি মানেননি মুখ্যমন্ত্রী।
পাল্টা জানান, দীর্ঘদিন লোকসভার সাংসদ এবং মন্ত্রী থাকার জন্যে পেনশন হিসাবে ১লাখ টাকা করে পান। কিন্তু তা তিনি নেননা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর বেতনও তিনি নেন না। বই থেকে পাওয়া রয়্যালটি থেকেই তাঁর চলে যাচ্ছে বলে বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু বিধায়কদের বেতন খুবই কম। আর সেই কারনেই মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এক ধাক্কায় ৪০ হাজার টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা করেন তিনি। যেখানে মন্ত্রীদের বেতন আগে ছিল ১লাখ ১০ হাজার টাকা।
৪০ হাজার বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করার ফলে এখন থেকে তাঁরা মাসে দেড় লাখ টাকা পাবেন। একই সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীরাও এতে উপকৃত হবেন। আগে ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৯০০ টাকা। ঘোষণা অনুযায়ী বর্ধিত বেতন হবে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা। বেতন এবং ভাতা সহ এতদিন বিধায়করা পেতেন ৮১ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর বেতন হল প্রতিমাসে ১ লাখ ২১ হাজার টাকা।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের ঘোষণার পরে অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই উল্লাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল বিধায়করা। উল্লেখ্য, অন্যান্য রাজ্যের থেকে বাংলার বিধায়কদের বেতন অনেকটাই কম। যা নিয়ে বারবার কথা উঠেছে। এমনকি সম্প্রতি বিধায়ক থেকে পঞ্চায়েত সদস্য এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের বেতন বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল সর্বোচ্চ নেতা।
আর এর পরেই এই ঘোষণা। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘোষণার পর কি তাহলে এবার পঞ্চায়েত সদস্য এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদেরও বেতন বৃদ্ধি হবে? যদিও বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের সমালোচনা শুরু হয়েছে। দিনের পর দিন ডিএ’য়ের দাবি যেখানে ধর্নায় সরকারি কর্মীরা সেখানে এই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।