কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা চরবৃত্তি করতেন। এমনই অভিযোগ করেছে ট্রুডো সরকার। গত ১৮ জুলাই কানাডার প্রধানমন্ত্রী খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের হাত থাকার মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন।
তারপর থেকে ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি হয়ে চলেছে। মোদী সরকারের পক্ষ থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে পাল্টা নিশানা করে বলা হয়েছে কোনও রকম প্রমাণ ছাড়াই কী করে তিনি এই মন্তব্য করলেন। উল্টে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কানাডার জমিকে সন্ত্রাসবাদীরা ব্যবহার করছে বলে একাধিক বার সতর্ক করা হয়েছে কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।
বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কানাডা সরকারকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে যেন সেখানে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে রাশ টানা হয়। তারপরেও নিজ্জর হত্যাকান্ডে ট্রুডোর এই বেফাঁস মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এই মন্তব্য আর বরদাস্ত করতে রাজি নয় মোদী সরকার। একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে বিদেশমন্ত্রক। গতকাল কানাডার ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বিবৃতি জারি করে সেকথা জানানো হয়েছে। তাতে েয সমস্যা বাড়বে সেখানে নিযুক্ত ভারতীয়দের তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু দেশের সুরক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। তারপরেই দিল্লিতে কানাডা দূতাবাস থেকে কর্মীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ভারতে কানাডা দূতাবাসে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কূটনীতিক রয়েছে। তারা বিভিন্ন ভারত বিরোধী কার্যকলাপের তথ্য দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভারতের সঙ্গে কানাডার এই বিবাদ নিয়ে আমেরিকা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মোদী সরকারকে ধৈর্য ধরে এবং ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। এবং প্রত্যেকটি পদক্ষেপ যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে। বিশ্বের একাধিক দেশ এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গেও এই নিয়ে কথা বলেছে মোদী সরকার।
কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা চরবৃত্তি করে, গুরুতর অভিযোগ ট্রুডো সরকারের
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it