ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, মেরঠ : Coco’s Entry in UP Elections ইউপি নির্বাচনে ঢুকে পড়েছে ‘কোকো’ শব্দটি। বৃহস্পতিবার পশ্চিম ইউপিতে ভোটের সময় এই শব্দটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা নাগাদ আরএলডি সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরীও টুইট করে বলেন, মানুষ অভিধানে কোকোর অর্থ খুঁজছে! এখন আপনার মনেও একটা কৌতূহল থাকবে যে এই কোকো কী এবং হঠাৎ নির্বাচনের মধ্যে এটা কেন সবার মুখে মুখে ঘুরছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত তাঁর পরিবার-সহ মুজাফফরনগরে যখন ভোট দিতে এসেছিলেন তখন নির্বাচনের ফলাফল কেমন হবে জানতে চাওয়া হলে টিকাইত বলেছিলেন যে, বিজেপির ভোট ‘কোকো’ কেড়ে নিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে, ‘কোকো’ শব্দটি ছোট বাচ্চাদের নজর ঘোরানো জন্য ব্যবহার করা হয়। শিশুকে বোঝানো হয় যে তার যা ছিল তা ‘কোকো’ নিয়ে গেছে, অর্থাৎ একটি পাখি নিয়ে গেছে। শিশুটি তা বিশ্বাস করে জিদ করা ছেড়ে দেয়। বড়রা এই ‘কোকো’র অজুহাতে বাড়ির নানান জিনিসপত্র লুকিয়ে রাখে।
এর আগেও এমন শব্দ ব্যবহার করেছেন টিকাইত Coco’s Entry in UP Elections
এই প্রথমবার নয় যে রাকেশ টিকাইতের এই ভিন্ন পরিভাষা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কৃষক আন্দোলনের সময় রাকেশ টিকাইত ‘গোলা-লাঠি’ থেকে শুরু করে এমন অনেক শব্দই ব্যবহার করেছেন। বৃহস্পতিবার ইউপি বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটের ফাঁকে জয়ন্ত চৌধুরীর ভোট না দেওয়ার খবর প্রচার পায়। খবর অনুযায়ী, আরএলডি সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরী ভোটই দিতে পারেননি।
ভোটের একদিন আগে জয়ন্ত চৌধুরী বলেছিলেন যে, তিনি ভোট দিতে পারবেন না। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট চলাকালীন মথুরায় ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি আরএলডি সভাপতি। সূত্রের খবর, জয়ন্ত চৌধুরী সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিজনৌরে নির্বাচনী জনসভা করছিলেন। এ কারণেই তিনি ভোট দেওয়ার জন্য সময়মতো ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি। ভোট না দেওয়ার বিষয়ে চৌধুরীর বক্তব্যের জন্য উপহাস করে বিজেপি। এরপরে আরএলডি নেতাকে তাঁর বক্তব্য পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
Coco’s Entry in UP Elections
———–
Published by Subhasish Mandal