গোটা বাংলা যখন তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে, জাগছে একের পর এক রাত, ঠিক সেই আবহেই বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চায় এলেন জহর সরকার৷ কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ড এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার এবং রাজনীতিকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন জহর সরকার। ইতিমধ্যে চিঠি লিখে নিজের সিদ্ধান্তের কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন তিনি৷ এরপর দিল্লি গিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে ইস্তফাপত্র দেবেন তিনি৷
কেন ইস্তফা?
আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ‘হতাশ’ জহর সরকার! তারই প্রতিবাদে নাকি রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদের পদ ছেড়েছেন তিনি৷
রাজনীতি থেকেও নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন করছেন বলেও তিনি সাফ জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে। এদিকে এই অশান্ত আবহে জহর সরকারের এই পদক্ষেপে তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বহু নেতাই৷
আরও পড়ুন: Dev vs Kunal Ghosh: ‘তুমি চৈতন্যদেব সাজছো’, ফের দেবকে নিশানা কুণালের! পাল্টা দিলেন অভিনেতাও
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে তিন বছর কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জহর সরকার। তবে দুর্নীতি, আরজি কর-সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সুপ্রিমোর অবস্থান নিয়ে সরবও হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, আরজি কর কাণ্ডের পর বাংলার সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের এই বিপুল অনাস্থা, দীর্ঘ কর্মজীবনে আগে কখনও দেখেননি তিনি।
কী রয়েছে চিঠিতে?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে জহর সরকার জানিয়েছেন, ‘‘আমি গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরোনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এককথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম। কিন্তু আমার রাজ্যে দুর্নীতি আর দলের একাংশের নেতাদের অন্যায় দাপট দেখে আমি হতাশাগ্রস্ত।’’