আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে (Sandip Ghosh) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর, সিবিআইয়ের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা গ্রেফতার করে তাঁকে। জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন আরও ৩ জন। এঁরা হলেন সন্দীপ ঘোষের দেহরক্ষী আফসার আলি, হাসপাতালের ভেন্ডর সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহ।
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে (Sandip Ghosh) কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিলেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। গত সপ্তাহেই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা আরজি কর হাসপাতালে সেপরিচয়হীন মৃতদেহের হিসেব চান। তবে ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের হিসেব দেওয়া হলেও তার আগের হিসেব দিতে পারেনি হাসপাতাল।
আর এখান থেকেই আরজি কর হাসপাতাল (Sandip Ghosh) থেকে দেহ পাচারের অভিযোগ ওঠে এবং সেই ঘটনার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের জড়িত থাকারও অভিযোগ ওঠে একইসঙ্গে। এছাড়া, হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বর্জ্যপদার্থ বাইরের দেশে পাচার হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই সবকিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সদুত্তর না-মেলায় শেষ পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
আরও পড়ুন : RG Kar Protest : আরজি কর-কাণ্ডে ধর্মতলায় প্রতিবাদের ঢেউ, উপস্থিত সেলেবরাও
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে (Sandip Ghosh) মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই ঘটনার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর গত ১৫ অগস্ট তাঁকে প্রথম বার তলব করে সিবিআই।
১৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার সন্ধ্যায় আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির খবর পৌঁছতেই লালবাজারে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে তাঁরা এও জানান, তিলোত্তমার সঙ্গে যে বা যাঁরা এই নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের যতক্ষণ না পর্যন্ত গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।