WB Municipal polls postponed পুরভোট পিছিয়ে দিতে এবার সায় দিল রাজ্য সরকারও
কৌশিক দাস , ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: নির্বাচন ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২২ জানুয়ারির পুরভোট ১২ ফেব্রুয়ারি। পুরভোট পিছিয়ে দিতে এবার সায় দিল রাজ্য সরকারও। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে সেকথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন তারই প্রেক্ষিতে জবাব দিল রাজ্য।
শুক্রবার আদালত চার থেকে ছয় সপ্তাহ ভোট পিছনে যায় কিনা তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানায় তার পরেই রাজ্যের তরফ থেকেও ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারি ভোট পিছনোর এক্তিয়ার নিয়ে জানতে চায় আদালত ৷ রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন একে অপরের কোর্টে বল ঠেলতে থাকে ৷ নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, কমিশন এককভাবে ভোটের দিনক্ষণ পিছনোর বা ভোট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না ৷ তার জন্য রাজ্যের সম্মতি দরকার ৷ রাজ্য সরকার যদি বর্তমান করোনা অবস্থাকে ‘বিপর্যয়’ ঘোষণা করে, তাহলে নির্বাচনের দিনক্ষণ এমনিতেই পিছিয়ে যাবে ৷
WB Municipal polls postponed পুরভোট পিছিয়ে দিতে এবার সায় দিল রাজ্য সরকারও
অন্যদিকে, ভোট স্থগিত নিয়ে কমিশনের দিকে বল ঠেলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল৷ তাঁর দাবি, ভোট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত একমাত্র কমিশনই নিতে পারে৷ রাজ্যের তরফে সংশ্লিষ্ট পৌরনিগমগুলির টিকা ও সংক্রমণের পরিসংখ্যান জানানো হয় আদালতে৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার, দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, “ভোট স্থগিত করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের বক্তব্যে সামঞ্জস্য নেই কেন ? আপনারা আগে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুন৷”
শেষমেশ গতকাল, ১৪ জানুয়ারি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
করোনা পরিস্থিতিতে চারটি পৌর নির্বাচন আপাতত ৪-৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখা যায় কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই৷ জানা গিয়েছে, এই বিস্তর টানাটানি শেষে আদালতের পরামর্শকে মান্যতা দিয়ে গতকালই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয় ৷ কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবে সায় দেয় নবান্ন । কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন পিছনো নিয়ে নবান্ন থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
Published by Samyajit Ghosh