The government has a bunch of plans on the Diamond Jubilee of Independence স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি, বছরব্যাপী উদযাপনের একগুচ্ছ পরিকল্পনা
কৌশিক দাস, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কলকাতাঃ স্বাধীনতার হীরকজয়ন্তী পূর্তি উদযাপন করতে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অবিস্মরণীয় অবদান এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই বছরব্যাপী এই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে সরকারের তরফে। অথচ কেন্দ্রের মোদি সরকারের কাছে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন কর্মসূচিতে ‘ব্রাত্য’ বাংলাই!
বুধবার এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা বৈঠকে বলতে দেওয়া হয়নি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলার বিশিষ্ট জনেদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও। এই ঘটনা শুধুমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অপমান নয় সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতার যুদ্ধের ইতিহাসে বাংলার ভূমিকাকে অপাংক্তেয় করে দেখানোর প্রয়াস বলে মনে করছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নবান্ন সভাঘরে প্রস্তুতি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সঙ্গীতশিল্পী অজয় চক্রবর্তী, চিত্রকর যোগেন চৌধুরী,নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ী ইতিহাসবিদ সুরঞ্জন দাস-সহ অনেকেই। ছিলেন মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। সেখানেই যোগেন বাবু প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে না দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওই ঘটনার নিন্দা করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অন্যান্যদের কথা বলার সুযোগ দিলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সুযোগ দেননি। অথচ স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অবদান সবথেকে বেশি। শিল্পী মহলের তরফ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছি ও নিন্দা জানাচ্ছি। অন্যদিকে, জয় গোস্বামী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুর্ব্যবহার এর আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালেও দেখা গিয়েছিল, তাই এই ব্যবহারে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে, বিপ্লবীদের স্মরণ, স্বাধীনতা সংগ্রামের তথ্যভান্ডারের ডিজিটাল প্রকাশ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজে বিশেষ বিতর্ক সভা, স্মারক নির্মাণের মত বিষয় থাকছেএদিকে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে, বিপ্লবীদের স্মরণ, স্বাধীনতা সংগ্রামের তথ্যভান্ডারের ডিজিটাল প্রকাশ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজে বিশেষ বিতর্ক সভা, স্মারক নির্মাণের মত বিষয় থাকছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, জাতির জনক মহাত্মা গাধীর নামে তমলুকে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে আরও প্রসারের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।২৬ জানুয়ারি ও ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। এছাড়াও, আগামী বছর রেড রোডে বিশ্ব সঙ্গীত মেলা হবে। শ্যামবাজারে জয়তু নেতাজি নামে হবে পদযাত্রা। মনীষীদের জন্মদিনে আলো দিয়ে বিশেষ ভাবে সাজানো হবে।”
তিনি আরও বলেন, ১৫ অগাস্ট থেকে ৭ দিন রাজ্য জুড়ে মণীষীদের স্মরণ করা হবে। ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত নেতাজিকে নিয়ে অনুষ্ঠান হবে। নেতাজির জন্মদিনে পদযাত্রা ও সাইরেন বাজানো হবে। ২০২২-এ বিশ্ব সঙ্গীত সম্মেলন হবে রেড রোডে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সব তথ্য ডিজিটাইজ করা হবে। পলাশীর যুদ্ধ থেকে মহাবিদ্রোহ, পাঠ্যপুস্তকে রাখতে হবে। ইতিহাসকে বিকৃত করা যাবে না।”