Thursday, November 21, 2024
Homeরাজ্যনদিয়াStory of a helpless family at Nadia দেড় বছর পরেও মেলেনি ফ্যামিলি...

Story of a helpless family at Nadia দেড় বছর পরেও মেলেনি ফ্যামিলি পেনশন! সুরাহার আশায় সরকারি দফতরে ঘুরছেন প্রয়াত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী

সুরজিৎ দাস, নদিয়া, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : Story of a helpless family at Nadia মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন দুয়ারে সরকার, কিন্তু দেড় বছর ধরেই সরকারের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে মেলেনি নিষ্পত্তি। স্বামীর চাকরির প্রাপ্য পেনশন পেতে দরজায় দরজায় ঘুরেও হতে হয়েছে হয়রানির শিকার। চরম অর্থকষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন নদিয়ার তাহেরপুর এ-ব্লকের কল্পনা চক্রবর্তী ও তাঁর ছেলে শুভ চক্রবর্তী। ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে বাড়ি বিক্রির মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে পথে বসতে চলেছে এই চক্রবর্তী পরিবার।

নদিয়ার বাদকুল্লা মুগরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন জীবন চক্রবর্তী। চাকরি থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর মারা যান জীবনবাবু। মৃত্যুর আগে জীবনবাবুর চিকিৎসার জন্য বিস্তর ধারদেনা হয়ে যায় চক্রবর্তী পরিবারের। এরপর চরম অর্থকষ্ট শুরু হয় সদ্য স্বামীহারা কল্পনা চক্রবর্তীর পরিবারে। স্বামী মারা যাওয়ায় মাইনে বন্ধ হয়ে। সংসার চালাতে বেড়ে চলে ঋণের মাত্রা। তা একসময় মাত্রা ছাড়ায়। কেননা দীর্ঘ দেড় বছর কেটে গেলেও এখনো পেনশন চালু হয়নি জীবন চক্রবর্তীর স্ত্রী কল্পনা চক্রবর্তীর। বর্তমানে ধার শোধ করার জন্য বসবাস করার বাড়িটি পর্যন্ত বিক্রয়ের চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন তিনি। স্বামী মারা যাওয়ার পর পেনশনের জন্য এমন কোনও জায়গা নেই যে সেখানে যাননি কল্পনা চক্রবর্তী। এসআই অফিস থেকে শুরু করে ডিআই অফিস, নদিয়ার জেলাশাসকের দফতর, নবান্ন এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি পর্যন্ত। কিন্তু এত দরবার করেও মেলেনি সুরাহা। স্বামীর পেনশনের অনুমোদন আটকে আছে সরকারি বাবুদের তৈরি লাল ফিতের ফাঁসে। হাজার কষ্টের কথা বললেও নানান অনুরোধেও চিড়ে ভেজেনি শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। যার ফলে চিকিৎসার কারণে ঋণে জর্জরিত এক সময়কার মানুষ গড়ার কারিগর প্রয়াত জীবন চক্রবর্তীর স্ত্রী কল্পনা চক্রবর্তী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের জন্য চালু করেছেন দুয়ারে সরকার ও পাড়ায় সমাধানের মতো বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্প। কিন্তু সেই প্রকল্পগুলি যে বাস্তবে কতটা রূপায়িত হয়েছে, তাহেরপুরের চক্রবর্তী পরিবারের এই ঘটনায় তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থেকেই যায়! সদ্য স্বামীহারা কল্পনা চক্রবর্তীর এখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটাই আবেদন দয়া করে তাঁর স্বামীর পেনশনের ফাইলটি যদি পাস হয়ে আসে তাহলে হয়তো বেঁচে যাবে একটি পরিবার।

Story of a helpless family at Nadia

আরও পড়ুন : MP Jagannath Sarkar ৫ রাজ্যে বিজেপির ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার

——–

Published by Subhasish Mandal

SHARE
RELATED ARTICLES
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it

Most Popular