আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar News) গ্রেফতার অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়৷ এই মুহূর্তে তাকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ অভিযুক্তের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ৷ কিন্তু ধরা পড়ার পরও একপ্রকার বেপরোয়া মনোভাব তার৷ পুলিশ কর্মীদের নাকি সে বলছে, “ফাঁসি দিয়ে দিন”। গ্রেফতারির পর থেকে এখনও পর্যন্ত তার চোখে-মুখে অনুশোচনার লেশমাত্র ধরা পড়েনি। তাই অনুমান, সজ্ঞানে সে এই নৃশংস কাজ করেছে৷
কী জানা যাচ্ছে?
কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও নাকি নিজেকে কলকাতা পুলিশেরই স্বশস্ত্র বাহিনীর এএসআই বলে পরিচয় দিত সঞ্জয়। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, অন্য থানার মহিলা পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারদের রীতিমতো উত্তপ্ত করত অভিযুক্ত। এছাড়াও তার মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে কলকাতা পুলিশে কর্মরত বেশ কয়েকজনের ফোন নম্বর৷
আগেও একাধিক সরকারি হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং মহিলা পুলিশকর্মীদের ফোনে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু কেউ তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আর এখান থেকেই উঠে আসছে প্রভাবশালী-তত্ত্বের কথা। মাথার উপর প্রভাবশালীর হাত থাকার কারণেই কি সঞ্জয় ধরাছোঁয়ার বাইরে? উঠছে প্রশ্ন৷
এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পাড়ায় অনেকেই তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলেই জানত। মিথ্যা কথা বলে লোকের থেকে টাকা নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে৷
আরও পড়ুন : RG Kar News: চিকিৎসক-মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য, মুখ খুললেন অভিষেক
সঞ্জয় রায়কে (RG Kar News) ইতিমধ্যেই ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার হয়ে সে কীভাবে হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত করত সে এই প্রশ্নও উঠছে৷ অভিষেক গুপ্তা (ডিসি নর্থ) সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্তের পোস্টিং আরজি কর বা এই এলাকায় ছিলই না। হাসপাতালে তার পরিচিত কেউ ভর্তি হয়তো ছিল। তাই রোগী দেখতে মাঝে মাঝে আসত সে।’