বিহার সরকার জাত শুমারির রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই পথেই হাঁটতে চলেছে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি। তবে বিরোধী জোটে না থাকা এবং বিভিন্ন ব্যাপারে সংসদে মোদী সরকারকে সমর্থন করা ওড়িশার বিজেডি সরকারও তাদের রাজ্যে জাত শুমারির কাজ হাতে নিয়েছে। রাজ্য সরকার এখন রিপোর্ট প্রকাশের কথা ভাবছে বলেও জানা গিয়েছে। ওড়িশা সরকার তাদের রাজ্যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সমীক্ষার কাজ হাতে নিয়েছে। বিজু জনতা দলের এক বিধায়ক বলেছেন, রাজ্য সরকার ওবিসি সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে সক্রিয়। মঙ্গলবার অসম সরকার বলেছে, তারা রাজ্যের পাঁচটি আদিবাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা পরিচালনা করবে, যাতে তাদের উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা, সাংস্কৃতিক পরিচয়, শিক্ষা, আর্থিক বিষয়, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নে জোয়ার আনবে। উল্লেখ করা যেতে পারে বিহার সরকার গত সোমবার ২রা অক্টোবর তাদের রাজ্যের জাত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যে ওবিসি ও ইবিসি মোট জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ। রাজ্য সরকারের তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বিহারের জনসংখ্যা ১৩.০৭ কোটির কিছু বেশি। এর মধ্যে অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণি হল ৩৬ শতাংশ আর অন্যান্য অনগ্রস শ্রেণি ২৭.১৩ শতাংশ, সাধারণ শ্রেণি ১৫.৫২ শতাংশ। জাত শুমারির রিপোর্ট অনুযায়ী, বিহারের উচ্চবর্ণের মানুষের সংখ্যা ১৫.৫২ শতাংশ, ভূমিহার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৩৩ শতাংশ, কুর্মি ২.৮৭ শতাংশ, মুসাহার ৩ শতাংশ, যাদব ১৪ শতাংশ, রাজপুত ৩.৪৫ শতাংশ।