কলকাতা শহরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া যুবকের মৃত্যু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে । নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই যুবক নাকি আগে জানিয়েছিলেন তিনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
প্রথমে প্রবল জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলেন ওই যুবক। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে । সেখানেই গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। যেহেতু শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর নিয়ে তিনি মারা গেছেন তাই নিপা সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁর শরীরে নমুনা সংগ্রহ করে পুণে ভাইরোলজিকাল ইনস্টিটিউটে পাঠানো হচ্ছে।
আক্রান্ত যুবক পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কেরলের এর্নাকুলামে কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার থেকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন যুবক। গতকাল তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরে উপসর্গ দেখা দিয়েছে সেগুলি নিপা ভাইরাসের। যদিও আক্রান্ত যুবকের শরীরে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলছেন না চিকিৎসকরা। তাঁর শরীরে নমুনা পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পরীক্ষা হয়ে আসার পরেই যুবকের শরীরে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় এখনও পর্যন্ত যুবকের বাড়িতে এবং বাড়ির চারপাশে কেউ এমন কোনও উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
কেরল জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিপা ভাইরাস। ইতিমধ্যেই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৯ জন। কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর কেরল সরকার। কোঝিকোড়ে সহ কেরলের একাধিক এলাকায় নিপা ভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে। তাতে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। নিপা ভাইরাসে যে ভ্যারিয়েন্ট এবার কেরলে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে সেটিকে বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই ভ্যারিয়েন্টের মারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। সেকারণে কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। নতুন করে কোনও আক্রান্তের খবর মেলেনি গত ২ দিনে।
এবার কি শহরে আক্রমণ করলো নিপা ভাইরাস? কেরল থেকে জ্বর নিয়ে আসা যুবক ভর্তি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it