কৌশিক দাস, কলকাতা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : রাজ্যের লোকাযুক্ত নিয়োগ নিয়ে ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সংঘাত তৈরি হল। আজ রাজ্য বিধানসভায় কে লোকায়ুক্ত হবেন তা নিয়ে স্পিকারের ডাকা বৈঠকে এলেন না শুভেন্দু অধিকারী। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের লোকায়ুক্ত হিসাবে প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়ের নাম মনোনীত করেছে বিধানসভার সিলেকশন কমিটি। একইসঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং এই কমিটির সদস্য হিসাবে শিবকান্ত প্রসাদের নামেও চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে কমিটি। এই নাম এবার পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। এখন রাজ্যপাল এই নামে সম্মতি দেন কিনা সেটাই দেখার। রাজ্যের এই সিলেকশন কমিটির সদস্যরা হলেন মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং বিরোধী দলনেতা ও পরিষদীয় মন্ত্রী। কিন্তু এদিনের বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন না।
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য (New Lokayukta in West Bengal)
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আলাদা করে তিনি এ ক্ষেত্রে নাম প্রস্তাব করবেন এবং তা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে পাঠাবেন। শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী, অধ্যক্ষ যেমন নিজেদের মতো করে নাম প্রস্তাব করতে পারেন। তেমনই বিরোধী দলনেতারও সে অধিকার রয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি আমার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। রাজ্যপালই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। রাজ্যপাল মহোদয় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ নেবেন এবং লোকায়ুক্তের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ, পরিষদীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে পরামর্শ করবেন। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যর ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং বিরোধী দলনেতার সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নেবেন। তা উনি (মুখ্যমন্ত্রী) প্রস্তাব করেছেন অধ্যক্ষের সঙ্গে বসে, আমি আমার আলাদা প্রস্তাব পাঠাব।”
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য (New Lokayukta in West Bengal)
বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সিলেকশন কমিটি যে নাম চূড়ান্ত করে পাঠাবে তাতেই রাজ্যপালের সম্মতি জানানোর নিয়ম। বিমানবাবু আরও জানান, “আমি আগে এরকম কোনও দিনও দেখিনি। এতদিন ধরে রয়েছি। বিরোধী দলনেতা উপস্থিত থেকেছেন। সূর্যকান্ত মিশ্র তাঁর আপত্তি জানিয়েছিলেন, তাঁর আপত্তি নোট করা হয়েছিল। আবদুল মান্নানও ছিলেন। তাই উনি (শুভেন্দু অধিকারী) কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন সেটা উনিই ভাল বলতে পারবেন। উনি রাজ্যপালের কাছে হয়তো গিয়েছেন।” অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যে নিয়ম সেটাই আমরা মেনে চলি।”