ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
কলকাতা: করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন নিওকোভ নিয়ে আতঙ্কে কাঁপতে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব। সবেমাত্র বৃহস্পতিবার এই ভাইরাসের কথা প্রকাশ্যে উঠে আসে। আর মাত্র তিন’দিনের মধ্যেই ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে মানুষের মধ্যে।চিনের তিন চিকিৎসা বিজ্ঞানীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটিতে প্রতি তিনজন আক্রান্তের মধ্যে একজনের মৃত্যু হতে পারে। এই তথ্য জানার পরই আতঙ্ক শুরু হয়েছে। মূলত এর প্রাণঘাতী বৈশিষ্ট্যের কথা জেনে অনেকের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিষ্কার জানিয়েছে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।
নিওকোভ মানব দেহে সংক্রমণের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম NeoCov Virus
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিওকোভের মতো বেশিরভাগ ভাইরাসই বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। দুনিয়ার ৭৫ শতাংশ ভাইরাসই বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় বলে তারা স্পষ্ট জানিয়েছে। কিন্তু তার সবকটি সমান বিপজ্জনক বা ভয়াবহ নয়। নিওকোভ আদৌ প্রাণঘাতী কিনা বা তা অতি সংক্রামক কিনা সেটা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে হু’র পক্ষ থেকে। সেইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন নিওকোভ সম্বন্ধে এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে এটি মানব দেহে সংক্রমণের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
তিন বছর সৌদি আরবে তাণ্ডব চালায় NeoCov Virus
এই ভাইরাসটি নতুন নয়। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এটি মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর ধরে সৌদি আরবে তাণ্ডব চালায় এটির আরেক রূপ মার্স। ওই ভাইরাসটিতে সৌদিতে আক্রান্ত হয় প্রায় আঠাশশোর মতো মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা আটশোর বেশি। অর্থাৎ মৃত্যু হার ৩০ শতাংশেরও বেশি। এই তথ্যই মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে।
মার্স গোত্রের এই ভাইরাসের সঙ্গে সার্স গোত্রের সংমিশ্রণে নিওকোভের উদ্ভব NeoCov Virus
চিনের তিন চিকিৎসা বিজ্ঞানীর গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে জানা গিয়েছে মার্স গোত্রের এই ভাইরাসের সঙ্গে সার্স গোত্রের করোনার সংমিশ্রণে নিওকোভের উদ্ভব ঘটেছে। তবে এই নতুন প্রজাতি আগের মতোই মারণ ক্ষমতা ধারণ করে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, যে ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি সেটি খুব একটা সংক্রামক হয় না। তাই এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর আস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।