শাক্ত এবং বৈষ্ণবের মিলনক্ষেত্র নদিয়ার শান্তিপুর। এক কথায় বলা চলে নদিয়ার শান্তিপুর বাংলার কালী ক্ষেত্র। তার কারণ বাংলার আদি দক্ষিণাকালী আগমেশ্বরী মাতা পূজিতা হন শান্তিপুরে।
অপরদিকে একাধিক তন্ত্র মতে হয়ে আসা পুজো গুলিও শান্তিপুরে হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হল শান্তিপুরের রানী মাতা আগমেশ্বরী, ছোট রানী মা মহিষখাগি মাতা এবং পঞ্চমুন্ডির আসনে পুজিতা দেবী বামা কালী। যদিও এর সঙ্গে রয়েছে শান্তিপুরের বহু প্রাচীন বনেদি বাড়ির কালীপুজো।
আরও পড়ুন: Kali Puja: অমাবস্যা কখন লাগছে? কতক্ষণ থাকছে? জানুন কালীপুজোর নির্ঘণ্ট
শুক্রবার বিকেল থেকেই যথাসময়ে শান্তিপুরের এই সমস্ত কালী প্রতিমা গুলি নিরঞ্জনের পথে বের হয়। ভক্তদের কাঁধে চেপেই মাতা মহিষখাগি প্রথম নিরঞ্জনের পথে বের হন শান্তিপুরের রাজপথে। এরপর শান্তিপুরের রাজমাতা আগমেশ্বরী ১০৮ টি ঢাক নিয়ে শহরের রাস্তার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে নিরঞ্জনের পথে। যদিও এ বছরও শান্তিপুরের ঐতিহ্যের মশাল হাতে মাতা আগমেশ্বরী কে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
তবে শান্তিপুরের বামা কালীর নাচ দেখতে শুধু শান্তিপুর নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগণিত ভক্তবৃন্দ এবং দর্শনার্থীরা ভিড় জমান শান্তিপুর বড়বাজার মোড় এলাকায়। এরপর রাত্রি বারোটর কাছাকাছি সময়ে বামা কালীকে ভক্তবৃন্দের সামনে নিয়ে আসা হয় এবং করানো হয় নৃত্য।
যদিও সর্বসাকুল্যে নদিয়ার শান্তিপুরের আরও বেশ কিছু পূজিতা কালী প্রতিমাও পরপর নিরঞ্জনের পথে যায় শান্তিপুরের রাজপথ দিয়ে। তবে রানাঘাট পুলিশ জেলা এবং শান্তিপুর থানার পুলিশি প্রহরায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় শান্তিপুরের ঐতিহ্য প্রাচীন কালীপুজোর শোভাযাত্রা।