দুর্ঘটনা কবলিত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchenjunga Express) যাত্রী নিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছালো রাত ৩.১৭ মিনিটে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী রাতে শিয়ালদহ স্টেশনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি হেল্প ডেস্ক করা হয়। সেই হেল্প ডেস্কের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।
এদিকে দুর্ঘটনার (Kanchenjunga Express) প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চললো, এখনও জোরকদমে চলছে রেললাইন থেকে বগি সরানো, ইলেকট্রিক তার সারাইয়ের কাজ। সোমবার সকাল আনুমানিক পৌনে ন’টা নাগাদ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই দ্রুত গতিতে চলছিল উদ্ধারকাজ। তবে রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি, যার ফলে রেল কর্মীদের কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। তবে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য বৃষ্টির মধ্যেই রাতভর কাজ চলতে থাকে। দুর্ঘটনার কারণে ডাউন লাইনের ক্ষতি হলেও আপ লাইনের সেরকম কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : Bengal Train Accident : বারবার ট্রেন দুর্ঘটনার দায় কার? Mamata বনাম Ashwini Vaishnaw, পারদ তুঙ্গে!
দুর্ঘটনার (Kanchenjunga Express) কারণে মালগাড়ি ও এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগি রেললাইনের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেললাইনের ওপর থাকা ইলেকট্রিক ওয়্যারিং-এর। এরপর রেলের তরফে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়।
রাতেই আপ লাইন দিয়ে মালগাড়ির ট্রায়াল রান করানো হয়। এরপর আপ লাইন দিয়ে মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ কামাখ্যাধাম এক্সপ্রেস চালানো হয়। তবে দুর্ঘটনাগ্ৰস্ত (Kanchenjunga Express) ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার কাজ চলছে এখনও। এই মুহূর্তে ডাউন লাইন মেরামত করার কাজ চলছে জোরকদমে।