কৌশিক বোস, দুর্গাপুর, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : ‘এখন শুধু চিকিৎসাই নয়, চিকিৎসকদের মাঝে মধ্যে ডাটা এন্ট্রিও করতে হচ্ছে’– বলছেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার ডা. ধীমান মণ্ডল। বর্তমানে মহকুমা হাসপাতালের ছবিটা ঠিক এরকমই। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে যখন বেসামাল গোটা দেশ তথা রাজ্য, তখন ব্যতিক্রম নয় এই হাসপাতাল। সেখানে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত। স্বভাবতই পরিষেবায় পড়েছে প্রভাব।
করোনার জেরে জেরবার মহকুমা হাসপাতাল Corona situation at Durgapur Sub Divisional Hospital
হাসপাতাল সুপার জানাচ্ছেন, যাঁরা সুস্থ রয়েছেন তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার। হাসপাতালে রয়েছে ইন্ডোর রোগী, এর পাশাপাশি রয়েছে আউটডোরে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা আক্রান্ত হওয়ার ফলে ইন্ডোর রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে ফোনে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। সেইমতো নার্সিং স্টাফেরাও দায়িত্ব পালন করছে। সুপার জানাচ্ছেন যে এই মুহূর্তে বিভাগীয় দফতর কিছু নেই। সবাই সব ধরনের কাজ করেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স বা অন্যান্য কর্মী মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৫।
যদিও চিকিৎসকের একাংশের আশঙ্কা এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বেশি দিন পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। অবিলম্বে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিকাঠামোগত উন্নতিও প্রয়োজন বলে একাংশের অভিমত। মহকুমা হাসপাতালে কোভিড বেডের সংখ্যা ১৫০। তার মধ্যে অক্সিজেন সাপোর্ট বেডের সংখ্যা ২৬। বর্তমানে ৫ জন রোগী কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। ৩৫০ শয্যাবিশিষ্ট মহকুমা হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬০০ রোগী চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসে। কর্মী সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় স্বভাবতই পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেরি হচ্ছে বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে, মেনে নিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক আবির ব্যানার্জি। ফলে মাঝে মধ্যেই ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে রোগী ও তাঁর পরিবারের।
অব্যাহত রাজনৈতিক কাজিয়া Corona situation at Durgapur Sub Divisional Hospital
এই ঘটনা নিয়ে এবার শুরু হয়েছে রাজনীতিও। মহকুমা হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সরকারের পরিকল্পনাহীন স্বাস্থ্যব্যবস্থাই দায়ী বলে মন্তব্য বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্তের। পাল্টা কটাক্ষ মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা উত্তম মুখার্জির। তিনি বলেন এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি না করে এই অতিমারীর সময়ে বিরোধীরা একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক।
——-
Published by Subhasish Mandal