Chital deer rescued from Kangsavati char কংসাবতীর চর থেকে উদ্ধার চিতল হরিণ
অশোক ভট্টাচার্য,ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা,ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির চিতল হরিণের। শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানার বালিশিরা এলাকায় কংসাবতী নদীর চরে এই বিরল প্রজাতির হরিণকে দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। এই বিরল প্রজাতির হরিণ দেখে স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
Chital deer rescued from Kangsavati char চিতল হরিণের বৈশিষ্ট্য
চিতল হরিণ বা Spotted Deer ভারতীয় উপমহাদেশে পাওয়া হরিণগুলির একটি প্রজাতি। এই হরিণের বিজ্ঞানসম্মত নাম Axis axis। মাঝারি আকারের এই হরিণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এদের পিঠের সোনালী রং এবং তার মাঝে সাদা সাদা ছোপ। এদের গলা ও পেটের দিকের অংশও সাদা হয়ে থাকে। এদের পিঠে শিরদাঁড়া বরাবর কালো একটি দাগ রয়েছে।এই প্রজাতির হরিণের লেজ সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। পা দৌড়ানোর কারণে পা অভিযোজিত হওয়ায় সামনের পায়ের ক্ষুর পিছনের পায়ের থেকে লম্বা হয়ে থাকে এদের। চিতল হরিণের চোখের কোণের Preorbital Gland অন্য হরিণের চেয়ে উন্নত হয়ে থাকে। এবং এই গ্রন্থি নিঃসৃত পদার্থ চিতলকে বনে পথ খুঁজতে ও খাদ্য সন্ধানে সাহায্য করে।
Chital deer rescued from Kangsavati char ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্কে রাখা হবে হরিণটি
কংসাবতী নদীর চরে এই শনিবার সকালে এই হরিণকে দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দারাই ফোন করে লালগড় থানা ও বনদফতরের লালগড় রেঞ্জের আধিকারিকদের বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা।ঘটনাস্থলে গিয়ে বনদফতরের কর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় চিতল হরিণটিকে ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্কে নিয়ে এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। চিতল হরিণটি সুস্থ রয়েছে বলে বনদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।আপাতত চিতল হরিণটি ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্কে রাখা হবে বলে বনদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।বালিশিরা গ্রামের বাসিন্দা সৈকত জানা জানান, খাবারের সন্ধানে মূলত জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে চিতল হরিণটি। এর আগে এই এলাকায় চিতল হরিণ কোনদিন দেখা যায়নি বলেও তিনি জানান। চিতল হরিণ দেখতে পেয়ে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। তাই গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় শনিবার পুলিশ ও বনদফতর চিতল হরিণটি উদ্ধার করে ঝাড়গ্রামের ডিয়ার পার্কে নিয়ে যায়।