ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
Students return from Ukraine
সৌম্য প্রমানিক . পূর্ব মেদিনীপুর: বোমা- বারুদের শহর ছাড়িয়ে ভারতের মাটিতে অবশেষে পা রাখলেন ইউক্রেনে আটকে থাকা ডাক্তারি পড়ুয়া দেবজিৎ বর্মন। দেবজিতের বাড়ি মহিষাদলের তেরোপেখ্যা গ্রামে। সম্ভাব্য আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার বাড়িতে ফিরবেন দেবজিৎ। পরিবারের লোকজনের কাছে এই খবর পৌঁছানো মাত্রই কার্যত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন দেবজিৎ-এর বাবা-মা। বর্তমানে দিল্লিতে ভারত সরকারের বিশেষ আবাসনে রয়েছেন দেবজিৎ। আগামীকাল সকালেই মহিষাদলে ফিরবেন তিনি। দেবজিৎ-এর ফিরে আসার খবর পাওয়ার পরই ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন দেবজিতের মা দীপা পিরি বর্মণ।
ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন সুমন ঘোষ Students return from Ukraine
রাজীব ঘোষ, মুর্শিদাবাদ: ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরল ফরাক্কার ছেলে সুমন ঘোষ। ভয়াবহ যুদ্ধের পরিস্থিতি মুখ থেকে বাড়ি ফিরা আসায় খুশি পরিবার ও এলাকা বাসী। সুমনের বাড়ি ফরাক্কার চৌকিগ্রাম। ইউক্রেনের ভিএন করাজিন খারকিভ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে ছিল ২০১৯ সালে। শনিবার সকালে ফরাক্কায় বাড়ি এসে পৌঁছল।
কেরিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায মুস্তাকিন Students return from Ukraine
শম্ভুনাথ মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নাম সৈয়দ মুস্তাকিন আহমেদ। বাড়ি বারুইপুর। ২০১৯ সালে ডাক্তারি পড়ার জন্য যান। চতুর্থ বর্ষ চলছিল। KYIV MEDICAL UNIVERSITYতে পড়ছিল মুস্তাকিন। আরও ২ বছর পড়া বাকি ছিল। বাড়ি ফিরে এসে স্বস্তিতে। তবে কেরিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে কোনো ব্যবস্থা নিক এমনটাই দাবি জানান তিনি।
ইউক্রেনেক থেকে ফিরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা অরিন্দমের মুখে Students return from Ukraine
সুরজিৎ দাস, নদিয়া: “পরিবারকে দেখতে পাবো সেই আশাও ছেড়ে দিয়েছিলাম, মৃত্যু সবসময় কাছ থেকে হাতছানি দিচ্ছিল”। ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়া এলাকার ষষ্ঠী তলা পাড়ার বাসিন্দা অরিন্দম বিশ্বাস। জন মজুরের কাজ করে কোন রকমে চলত সংসার। অরিন্দমের বাবা সেনা বিভাগের কর্মী। মাত্র ৪ বছর আগে গিয়েছেন তিনি। তার মধ্যেই ছন্দপতন। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ কেড়ে নিল সব স্বপ্ন। চাকরির স্বপ্ন তো দূরের কথা প্রাণ হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়েই শুরু হয়েছিল দুশ্চিন্তা। কোনরকমে জীবন হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। চোখেমুখে এখনো আতঙ্কের ছাপ। কানে এখনো শুনতে পাচ্ছেন মিসাইল নিক্ষেপের শব্দ। তিনি বলেন,” পরিবারকে আর দেখতে পাবো কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। তার কারণ আমরা ইউক্রেনে থেকে বর্ডার সীমান্তে আসছিলাম, হঠাৎ হঠাৎ গোলা বারুদের আওয়াজে কেঁপে উঠে”। বিমানবন্দরে আসার পর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তবে তিনি দিল্লি পৌঁছতে পেরেছেন। চতুর্থ বর্ষের চিকিৎসক পড়ুয়া অরিন্দম বিশ্বাসের আবেদন যে সমস্ত ভারতীয়রা ইউক্রেনের আটকে আছে তাদের অতিদ্রুত বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র সরকার।
Published by Samyajit Ghosh