গত দু’সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে তাপমাত্রার পারদ ৪৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে। আর এই প্রচণ্ড গরমে Delhi Fire Services প্রতিদিন গড়ে ২০০টি করে ফোন কল পাচ্ছে। চলতি বছরে ২৬ মে পর্যন্ত দমকল বিভাগ ২,৯৯১ টি ফোন কল পায়। শীতে প্রতিদিন গড়ে এই কল নেমে আসে ৭০-৮০-তে।
কী জানা গিয়েছে?
গত ২ সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে তীব্র দাবদাহে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। আর এই গরমের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বাসস্থান, হাসপাতাল থেকে শুরু করে পার্কিং লটে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যাও বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। Delhi Fire Service প্রধান অতুল গর্গ জানান, সঠিক মেইনটেন্যান্স ছাড়াই বেড়ে গিয়েছে এসি-র ব্যবহার।
আরও পড়ুন : Delhi Fire : দিল্লির শিশু হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড প্রাণ কাড়ল ৬ সদ্যোজাতের!
গত শনিবার রাতে দিল্লির বিবেক বিহারে একটি শিশু হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড প্রাণ কেড়ে নেয় ৭ শিশুর। বাড়ি হোক বা কারখানা, হাসপাতাল বা যে কোনও প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রিক্যাল লোড এবং ওয়্যারিং সঠিক রয়েছে কিনা তা প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা উচিত বলে মত অতুল গর্গের। তিনি বলেন, শীতে কম সময়ের জন্য গিজার চলে, কিন্তু গ্রীষ্মে দিন-রাত একটানা এসি চলতে থাকে। সেক্ষেত্রে লোড বাড়ালেও, ওয়্যারিং তা নাও নিতে পারে। ফলে সমস্যা বাড়ে।
তাপপ্রবাহ বাড়তে থাকায় জল সরবরাহের ওপরও তার প্রভাব পড়েছে। যে সব শহরে দিনে দু’বার করে জল সাপ্লাই করা হত, সেখানে একবার করে এই পরিষেবা পাচ্ছে মানুষ। যেখানে জলের সঙ্কট আরও বেশি সেখানে সেই জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।