চলছে লোকসভা নির্বাচন। মোট সাত দফায় এবারের এই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত গোটা দেশ। তবে তারই মধ্যে ফের ২০১৯ সালের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা ও বালাকোটে বিমান হানা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির মন্তব্য ও এর জবাবে বিজেপির পালটা নিয়ে ক্রমশই চড়ছে পারদ।
ঠিক কী বলেছেন রেবন্ত রেড্ডি?
রেবন্ত বলেছেন, ‘মোদীর কাছে সবটাই রাজনৈতিক। ভোটে জেতাটাই শেষ কথা। সময় এসেছে মোদী ও বিজেপির হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর। যাই জিজ্ঞেস করুন ওরা বলবে ‘জয় শ্রীরাম’। পুলওয়ামা হামলা ওরা আটকাতে পারেনি। আমাদের গোয়েন্দা সূত্র কী করছিল? কেউ জানে না এয়ারস্ট্রাইক আদৌ হয়েছিল কিনা।’ সেই সঙ্গেই পুলওয়ামা হামলা প্রসঙ্গে মোদীকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর দাবি, ‘মোদী পুলওয়ামা হামলার রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সুবিধা নিয়েছেন। আমি ওঁর কাছে জানতে চাই, আপনি কী করছিলেন? এটা ঘটল কীভাবে? দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষাকে মজবুত করতে তিনি কী করেছেন?’
এদিকে, বিজেপির জাতীয় সভাপতি শেহজাদ পুনাওয়ালার দাবি, ‘মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কংগ্রেস সেনার সাহস-বীরত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। আসলে ওদের একটা প্রজেক্ট দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার। এর পরিবর্তে কংগ্রেসও পাকিস্তানের থেকে সাহায্য নিচ্ছে।’
রেবন্ত রেড্ডির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। তিনি সাফ বলেন যে, ‘ভারতের বীরত্বগাথার কথা কংগ্রেসের থেকে আশা করা যায় না। ভারতীয় সেনার শৌর্যের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য কংগ্রেসের নেতাই করতে পারেন।’
এর পাশাপাশি স্মৃতি ইরানি তোপ দাগেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতিও। তিনি বলেন, ‘কেজরিওয়ালের এটা চিন্তা করা উচিত যে, ফের জেলে গিয়ে তিনি সময় কীভাবে কাটাবেন?’
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন কেজরিওয়াল। তারই প্রতিক্রিয়ায় এদিন আপ সুপ্রিমোকে নিশানা করেন স্মৃতি ইরানি।