ইন্ডিয়া নিউজ, উত্তরপ্রদেশ
উত্তরপ্রদেশে হঠাৎ ধনী হওয়া ২৯ জনের তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে কি করে রাতারাতি বড়লোক হয়ে উঠল এই ২৯ জন তা ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তাদের আয়ের উৎস খুঁজে বের করার পাশাপাশি এই ব্যক্তিরা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি। শুধু তাই নয়, নেপাল সীমান্তের আশেপাশে নির্মিত ধর্মীয় স্থানগুলোর ওপরও নজর রাখছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।
গোরখপুরের একটি এনজিওর ভূমিকা সন্দেহজনক
উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তথ্য পেয়েছিল যে গত দুই-তিন বছরে গোরক্ষপুর, দেওরিয়া, কুশিনগর এবং মহারাজগঞ্জের বহু মানুষ প্রচুর সম্পত্তি অর্জন করেছে। তদন্ত শুরু হলে তাতে ২৯ জনের নাম নজরে আসে।এখনও পর্যন্ত তদন্তে, গোরখপুরের একটি এনজিওর ভূমিকা সন্দেহজনক পাওয়া গেছে, যার অপারেটররা লেনদেনের হিসাব দিতে পারেনি। গত বিধানসভা নির্বাচনেও এই এনজিওর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছিলেন।
নেপাল সংলগ্ন জেলাগুলোতেও ধর্মীয় স্থানের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই এনজিওর অ্যাকাউন্টে মুম্বইয়ের পাশাপাশি দেশের অনেক শহর থেকেও মানুষ টাকা পাঠিয়েছেন। এনজিওর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাও সেই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদেরও খোঁজ করছে। এসব মানুষের ব্যবসার পাশাপাশি তাদের আয়-ব্যয়ের তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গত কয়েক বছরে নেপাল সংলগ্ন জেলাগুলোতেও ধর্মীয় স্থানের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক দল এ নিয়ে তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করেছে। এসব ধর্মীয় স্থান নির্মাণের টাকা কোথা থেকে এসেছে, কারা নির্মাণ করেছে, কারা পরিচালনা করেছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।