সমীর সায়নী, নয়া দিল্লি, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা,PM Modi Mann ki Baat Highlights : নতুন বছরের প্রথম এবং ৮৫ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আজ বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২২ সালের প্রথম ‘মন-কি-বাত’ বেলা ১১টার বদলে শুরু হয় সাড়ে ১১টায়। আজকের ‘মন-কি-বাত’ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী স্মরণ করেন গান্ধীজিকে, কথা বলেন দুর্নীতি নিয়ে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমাদের বাপু মহাত্মা গান্ধীজীর মৃত্যুবার্ষিকী। এই ৩০ জানুয়ারিই আমাদের মনে করায় বাপুর শিক্ষার কথা।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি উইপোকার মতো দেশকে ফাঁপা করে দেয়, এর থেকে তাড়াতাড়ি পরিত্রাণ পেতে হবে।আমাদের কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে; যেখানে কর্তব্যবোধ আছে সেখানে দুর্নীতি থাকতে পারে না।’ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে সংক্ররমণ কমছে এটা খুব ইতিবাচক লক্ষণ। সকলকে একজোট হয়ে হয়ে এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী কী বললেন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রধানমন্ত্রী পোস্টকার্ড পড়েন, PM Modi Mann ki Baat Highlights
তিনি বলেন, এক কোটিরও বেশি শিশু আমাকে পোস্টকার্ডের মাধ্যমে তাদের মন কি বাত জানিয়েছে। এই পোস্টকার্ডগুলি দেশের অনেক জায়গা থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও এসেছে। এই পোস্টকার্ডগুলি আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের নতুন প্রজন্মের বিস্তৃত এবং ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গির আভাস দেয়। তিনি প্রয়াগরাজ এবং গোয়া সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত কিছু পোস্টকার্ড পড়ে শোনান। প্রধানমন্ত্রী মোদী ঋদ্ধিমা স্বর্গিয়ারি নামে আসামের সপ্তম শ্রেণীর একটি ছাত্রীর পোস্টকার্ড পড়ে শোনান। যেখানে ঋদ্ধিমা উল্লেখ করেছেন, ভারতের ১০০তম স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বের মধ্যে ভারতবর্ষকে সবচেয়ে পরিষ্কার দেশ হিসাবে দেখতে চায় সে।
ভারতীয় নাগরিকদের গল্প এবং তাঁদের ভালো কাজের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর তায়াম্মাল নামে এক মহিলার কথা বলেন। যিনি নারকেল জল বিক্রি করে সঞ্চিত অর্থ থেকে একটি স্কুলে ১লাখ টাকা দান করেছেন।
পদ্ম পুরস্কার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, PM Modi Mann ki Baat Highlights
তিনি বলেন , ‘পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে এমন অনেকের নাম রয়েছে, যাঁদের সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। এঁরা হলেন আমাদের দেশের গর্ব, যাঁরা সাধারণ পরিস্থিতিতে অসাধারণ কাজ করেছেন।’
করোনা টিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, PM Modi Mann ki Baat Highlights
টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারত খুব সফলভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এটা গর্বের বিষয় যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪.৫ কোটি শিশু কোভিড ভ্যাকসিন নিয়েছে। আমাদের দেশে তৈরি ভ্যাকসিনের প্রতি আমাদের জনগণের বিশ্বাস শক্তির একটি বড় উৎস। এখন, কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা কমছে। এটা খুবই ইতিবাচক লক্ষণ। ‘
বক্তৃতার শেষে, প্রধানমন্ত্রী ‘স্বচ্ছতা অভিযান’,স্থানীয় মন্ত্র এবং একক-ব্যবহারের প্লাস্টিকের বিপদের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি তার ভাষণ শেষ করেন এই বলে যে সমস্ত ভারতীয়কে একটি ‘স্বনির্ভর’ ভারতের জন্য “তাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে” কাজ করতে হবে এবং এই ধরনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ “উন্নয়নের নতুন উচ্চতায়” পৌঁছাবে।
আরোও পড়ুন : পুরাণের পক্ষীরাজ ঘোড়াই আধুনিক বিশ্বের পেগাসাস, জানুন পেগাসাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য