কলকাতা , ইন্ডিয়া নিউজ
Increase in electricity tariff
ভোটের পরেই বাড়বে বিদ্যুতের দাম, সিদ্ধান্ত নবান্নে
ভোটের পরে বিদ্যুতের দাম বাড়বে মহানগরে। নবান্নের অনুমোদন মিলেছে। সিইএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তারা আগেই নীতিগতভাবে মেনে নিয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পরেই একপ্রস্থ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনের আগে তাতে অনুমোদন দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
জেলাগুলিতেও বিদ্যুতের মাশুল বাড়বে
মহানগরের কর্পোরেশনের নির্বাচন রবিবার। ফল বেরবে বুধবার। তারপরই বাড়তে পারে কলকাতার বিদ্যুতের মাশুল। দেশের মহানগরগুলির মধ্যে কলকাতায় বিদ্যুতের মাশুল যথেষ্ট চড়া। কলকাতায় এখন ৩০০ ইউনিট বিদ্যুতের গ্রাহকদের ইউনিট পিছু ৮ টাকা ৯২ পয়সা মাশুল দিতে হয়। বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে এই ক্ষেত্রে ২০১০-১১ পর্যন্ত বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি মূল্য ছিল ৪ টাকা ৭৩ পয়সা। গত দশ বছরে মহানগরে ইউনিট পিছু বিদ্যুতের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সিইএসসি বেসরকারি সংস্থা। মুনাফা করবে। স্বাভাবিক। তবে তৃণমূল জমানায় সিইএসসি’র মুনাফা বেড়েছে তাক লাগানো পরিমাণে। সিইএসসি’র অভ্যন্তরীণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০-এ সিইএসসি’র মুনাফার পরিমাণ ছিল ৪৩৩ কোটি টাকা। তা ২০১৯-এ এসে দাঁড়ায় ৯১৮ কোটি টাকায়। ২০২০-২১ সালে তা আরও বেড়েছে সন্দেহ নেই।
গত দশ বছরে মহানগরে ইউনিট পিছু বিদ্যুতের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি
Increase in electricity tariff
শুধু কলকাতারই নয়। জেলাগুলিতেও বিদ্যুতের মাশুল বাড়বে। এই প্রশ্নে নিজেদের ‘লোকসান’-এর হিসাব কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে যে, বিদ্যুৎ পরিবহণ ও উৎপাদনের জন্যই তাদের ২০১৯-২০ সালে লোকসান হয়েছে ১৮৬৭ টাকা। এই ক্ষতি লাগাতার বাড়ছে। গত তিন বছরের যে হিসাব কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্য দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে লোকসান বাড়ছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ‘সপ্তম ইন্টিগ্রেটেড রেটিং অনুসারে’ রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৬.৭ শতাংশে। এই দুর্দশার কথা উল্লেখ করে রাজ্য সরকার ঠিক করেছে, রাজ্যের অর্থনীতির উপর ‘আর্থিক বোঝা’ কমানো তাদের লক্ষ্য।
মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুতের সবচেয়ে চড়া দাম
গত দশ বছরে অন্তত ২০ বার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুতের সবচেয়ে চড়া দাম। বিদ্যুৎ দপ্তরের একাধিক আধিকারিকের দাবি, ‘‘রূপান্তর’-এর জন্য বেসরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ আসছে।’’ এই ‘রূপান্তর’ আসলে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার ছক।
পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের দাম দেশের মধ্যে যথেষ্ট চড়া। রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় ইউনিট পিছু গড়ে বিদ্যুতের দাম দিতে হয় ৮ টাকা ৩১ পয়সা। শহরাঞ্চলে তা ৮ টাকা ৪৪ পয়সা। সিইএসসি-ভুক্ত এলাকা এই হিসাবের বাইরে। ২০১০-১১ সালে রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির এলাকায় বিদ্যুতের ইউনিট পিছু দাম ছিল ৪ টাকা ২৭ পয়সা। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন।