রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আপাতত এড়ানো সম্ভব হয়েছে। দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং এখন পূর্ব সীমান্তে দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমেছে। আসলে প্যারিসে আট ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে সব পক্ষই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতিতে ফ্রান্স ও জার্মানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর একজন সহযোগী বলেছেন যে ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে অবশেষে ইতিবাচক খবর পাওয়া গেছে।
নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি Russia Ukraine Tension
2019 সালের পর প্রথমবারের মতো, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে একটা সংঘর্ষের প্রসঙ্গে ফ্রান্স এবং জার্মানির মধ্যে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করতে সম্মত হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে উভয় পক্ষ নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, পাশাপাশি দুই সপ্তাহ পর বার্লিনে একই বিষয়ে আরেকটি বৈঠক হবে। এই বৈঠকে শুধুমাত্র কূটনীতিকরা অংশ নেবেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেন কি বলে জেনে নিন Russia Ukraine Tension
রুশ কূটনীতিক দিমিত্রি কোজাক বলেছেন যে অনেক বিষয়ে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও, আমরা একমত হয়েছি যে পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি সব পক্ষকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “আশা করি ইউক্রেন আমাদের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে।” আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এর ফলাফলও বেরিয়ে আসবে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে ইয়ারমাক বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনা এত সহজ ছিল না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে আমরা 2019 সালের পরে যেকোনো ইস্যুকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে সম্মত হয়েছি।
কেন এই বিবাদ Russia Ukraine Tension
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে তার লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। এর পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো বাহিনীও সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। আমেরিকার 8500 সেনাও হাই অ্যালার্টে রয়েছে।
আর ও পড়ুন :PM Modi Top In Popularity জনপ্রিয়তার নিরিখে বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রনাথ মোদি