Side Effects Of Eating Too Many Bananas বেশি কলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মুক্তা, মুম্বই, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : ‘সর্ব ঘাটে কাঁঠালি কলা’ এই প্রবাদ বাক্যটি আমারা সকলেরই প্রায় জানি।আমাদের জীবনে কলার ভূমিকা কিন্তু ঠিক এতটাই, যতটা প্রবাদ বাক্যে মজা করে বলা হয়ে থাকে।স্বাস্থ্য রক্ষায় হোক কিংবা ত্বক ও চুলের যত্নে, প্রত্যেক ক্ষেত্রে কলার ভূমিকা অনস্বীকার্য।এমনকি আমাদের রোজকার জীবনের অধিক ব্যবহৃত ফল গুলির মধ্যে অন্যতম হল কলা। কলার অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেগুলি খানিকটা জানলেও অনেকটাই হয়তো আমাদের অজানা। বিশ্বের বিভিন্ন ফলের মধ্যে খাদ্য তালিকায় আর্থিক মূল্যের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয় এই ফলটি। আমরা সকলেই কলা পছন্দ করি। কিন্তু এখন বাজারে আসা কলা কার্বাইডের জলে ভিজিয়ে রাখা হচ্ছে। এই ধরনের কলা খেলে ক্যান্সার বা পাকস্থলীর সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করুন। এবং কলা খান। কিন্তু কার্বাইড ব্যবহার করে কলা পাকানো হচ্ছে কীনা , সেটা চিনবেন কিভাবে..?
সঠিক ভাবে করা চিহ্নিত করুন
প্রাকৃতিকভাবে কলা পাকালে এর ডাঁটা কালো হয়ে যায় এবং কলার রং হলুদ হয়ে যায়। কিন্তু কার্বাইড ব্যবহার করে কলা পাকানো হলে এর ডাঁটা সবুজ এবং কলার রং হবে লেবু হলুদ। শুধু তাই নয়, এ ধরনের কলার রং খুবই পরিষ্কার হলুদ। এতে কোন দাগ থাকে না।
কার্বাইড আসলে কি?
কার্বাইড জলে মিশে গেলে তা থেকে তাপ নির্গত হয় এবং অ্যাসিটালিন গ্যাস তৈরি হয়, যা গ্যাস কাটার ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের রাসায়নিকযুক্ত জলে কলার গুচ্ছ ডুবিয়ে রাখলে তাপ কলায় প্রবেশ করে এবং কলা পেকে যায়।
এই প্রক্রিয়া ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা জানেন না, এই রাসায়নিকটি কত পরিমাণে কলার জন্য ব্যবহার করতে হবে, এবং তারা এটি বিরামহীনভাবে ব্যবহার করেন। যার ফলে বাড়তি তাপ কলায় মিশে যায় এবং আমাদের পেটে যায়। এর ফলে শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাবও পড়ে। সেগুলি হল-
• পরিপাকতন্ত্র ব্যর্থ হতে শুরু করে
• চোখে জ্বালা ভাব
• বুকে ব্যাথা
• বমি বমি ভাব
• পাকস্থলী ব্যাথা করবে
• গলা জ্বালা
• পরে টিউমার হতে পারে।
অনেক বেশি কলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
১. কলার মধ্যে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে। তাই এটি কখনোই দিনে দুটির বেশি খাবেন না।
২. গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কলা খাওয়া উচিত।
৩. কলা গাছের পাতা, কান্ড সবকিছুই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু কোনোরকম এলার্জির সমস্যা থাকলে দেখে নেবেন কলা গাছের কোন বিশেষ অংশ আপনার খাওয়া উচিত নয়।
৪. কলার মধ্যে উচ্চমাত্রায় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় এটি অধিক খাওয়ার ফলে রক্তনালীতে প্রভাব পড়তে পারে। যার ফলে মাথাব্যথার সৃষ্টি হয় এবং এর মধ্যে ট্রিপটোফ্যান থাকায় এটি বেশি পরিমাণে খাবার ফলে বেশি ঘুম পাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
৫. কলা শর্করা সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় এটি খাওয়ার পর ঠিকভাবে মুখ না ধুলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।
৬. পটাশিয়ামের অধিগ্রহণের ফলে হাইপারক্যালেমিয়া রোগ দেখা দিতে পারে। যার ফলে পেশির দুর্বলতা কিংবা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা হতে পারে। তাই দৈনিক অল্প পরিমাণে কলা খেতে হবে।
আরও পড়ুন : আন্ডারআর্মের কালচে দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়