অঞ্জিশ কুমার, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, Period pain পিরিয়ড মানেই প্রচন্ড পেট ব্যাথা। আর সঙ্গে ব্যাথার ওষুধ। কিন্তু ঘন ঘন ব্যাথার ওষুধ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কী করবেন এমন পরিস্থিতিতে ? কীভাবে মিলবে ব্যাথার ওষুধ ছাড়া কষ্ট থেকে মুক্তি ?
ব্যাথা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় Period pain
কিশমিশ ও জাফরান
দুটি ছোট বাটিতে কালো কিশমিশ, এবং অন্য বাটিতে জাফরান রাখুন। এই দিনগুলি সকালে সেবন করুন। পিরিয়ড ক্র্যাম্প এবং ফোলা সমস্যার জন্য এগুলো সবচেয়ে ভালো। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে এবং আয়রনের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করতে পারে।
গরম জলের বোতল বা হিটিং প্যাড থেকে তাপ নিন
একটি গরম জলের ব্যাগ, হিটিং প্যাড বা কাচের বোতলে গরম জল ভরুন এবং প্রায় ১০-১৫ মিনিটের জন্য পেট এবং পিঠের নীচে সংকুচিত করুন৷ গরম জলের কম্প্রেসগুলি পিরিয়ডের সময় ব্যথা উপশমের ওষুধের মতোই কাজ করে।
হিং খাওয়া উপকারী
আপনি যদি পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে খুব বিরক্ত হন তবে আপনার হিং খাওয়া উচিত। আপনাকে এটি পিরিয়ডের সময় করতে হবে না, তবে পুরো মাসজুড়ে। এটি একটি আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি যা আপনার তলপেটের পেশীকে শক্তিশালী করতে, তাদের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এবং মাসিকের সময় ব্যথার কারণগুলি দূর করতে সাহায্য করে।
মেথি বীজ
আপনার মাসিকের দিনগুলি ভাল হতে পারে। ১২ ঘন্টা আগে, মেথি জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে, তারপরে এটি থেকে মেথি ছেঁকে তার জল পান করুন।
প্রচুর জল পান করুন
জল পান আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল যতটা সম্ভব জল পান করা। এ ছাড়া চা বা কফি খাওয়াও উপকারী।
সবুজ শাকসবজি খান
খাবারে কলা, সবুজ শাক ও পালং শাক খান। এই জিনিসগুলিতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। এই জিনিসগুলোই আয়রনের প্রধান উৎস।
আদা
আদা বেশ উপাকারী পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য। আদা চা পান করলে এই সময় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কয়েক টুকরো আদা গরম জলে সেদ্ধ করে মধু-চিনি সহযোগে দিনে তিন-চারবার পান করতে পারেন।
পেঁপে
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকর। পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে দেয়।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা রসের সাথে মধু মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করে ফেলুন। পিরিয়ডের ব্যথার সময় এটি পান করুন। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন। ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই পানীয়।
___
Published by Julekha Nasrin