অমিত সরকার, কোচবিহার, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : পঞ্চম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি ফি বাবদ অতিরিক্ত ১০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ভর্তির ১০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নেন ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষক-সহ ম্যানেজিং কমিটি। ঘটনাটি কোচবিহার জেলার কোচবিহার বক্সিরহাট থানার অন্তর্গত নাগুরহাট উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।
সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ভর্তির টাকা (extra money for school admission in Cooch Behar)
রাজ্যজুড়ে সর্বত্রই পঞ্চম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রতিটি সরকারি বিদ্যালয়ে ২৪০ টাকা করে ভর্তির ফি নেওয়ার নির্দেশ। সেখানে নাগুরহাট হাই স্কুল নিচ্ছে ৩৪০ টাকা করে। এই অভিযোগ তুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ১৭ জন অভিভাবক লিখিত আকারে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন প্রধানশিক্ষকের কাছে। অভিবাবকদের দাবি, ‘করোনার লকডাউনে কাজকর্ম হারিয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে ছাত্রদের স্কুলে ভর্তি করা কষ্টসাধ্য। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেখানে ভর্তি বাবদ ১০০ টাকা করে অতিরিক্ত নিচ্ছে, সেখানে রাজ্য সরকার সমস্ত বই-খাতা-কলম দিচ্ছে বিনামূল্যে। ১০০ টাকা অতিরিক্ত নিয়ে তা দিয়ে সিকিউরিটি গার্ড রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা ছাত্রদের থেকে ভর্তির সময় নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটি তাদের টাকা দিয়ে সিকিউরিটি গার্ড রাখুক। টাকা দিতে না পারায় বর্তমানে ১৭ জন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।’
অভিভাবকদের এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সুশান্ত কুমার রায় ও ম্যানেজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট রঞ্জিত কুমার কর্জী বলেন, ‘২০১৯-এ সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিয়ে একটি মিটিং করে রেজুলেশন মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয় বিদ্যালয়ে চুরি-সহ বিভিন্ন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিকিউরিটি গার্ড প্রয়োজন। সেই মর্মে সমস্ত অভিভাবকদের স্বাক্ষর নিয়ে সিকিউরিটি গার্ড রাখা হয়েছে। তাঁর মাসিক ৪ হাজার টাকা যা এককালীন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের থেকেই নেওয়া হবে। কিছু কিছু অভিভাবক বর্তমানে অভিযোগ করছেন, তাই আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে সমস্ত অভিভাবকদের নিয়ে আরেকটি মিটিং করে করা হবে। সেই মিটিংয়ে যদি সিদ্ধান্ত হয় বিদ্যালয়ে মধ্যে কোনও সিকিউরিটি গার্ড রাখা হবে না, তাহলে অতিরিক্ত ভর্তির ফি ফেরত দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ওই ১৭ জন ছাত্রকেও বিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া হয়েছে।’
———–
Published by Subhasish Mandal