আশঙ্কা সত্যি করে অবশেষে সেই খবরই প্রকাশ করল ইরানের সংবাদ মাধ্যম। ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির (Ebrahim Raisi) চপার ভেঙে পড়ার পর সেখানে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীরা পৌঁছলেও ‘জীবিত কাউকে এখনও দেখা যায়নি’ এখনও দেখা যায়নি বলেই সূত্রের খবর। ফলে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিও নিহত হয়েছেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কী জানা গিয়েছে?
সংবাদ সংস্থার রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী তল্লাশি অভিযান চালালেও জীবিত কাউকে দেখতে পায়নি। ইরানের প্রেসিডেন্টের (Ebrahim Raisi) চপার সম্পূর্ণ জ্বলে গিয়েছে বলেই জানা যায়। চপারের পোড়া অংশ ছড়িয়ে ইতস্তত। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চপারের কেবিন।
জানা গিয়েছে, ওই চপারে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানও। তাঁরা আজারবাইজান সীমান্তের কাছে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে ফেরার পথেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পাওয়া মাত্রই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যআয় ইরানের সেনাবাহিনী। আবহাওয়া প্রতিকূর থাকায় উদ্ধারকারীরা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়ে। শেষে তুরস্কের ড্রোনের সাহায্য়ে পাহাড়ের মাঝে জ্বলন্ত কিছু লক্ষ করা যায়। সেখানে উদ্ধারকারীরা পৌঁছলে চপারের খোঁজ মেলে।
উল্লেখ্য, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি এবং ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সহ মোট ৯ জনের। ২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ৬৩ বছর বয়সি রইসি। তাঁর মৃত্যুতে পশ্চিম এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে গভীর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।