Monday, November 25, 2024
Homeওয়েস্ট বেঙ্গলTrinamool Congress factionalism in Malda Chanchal প্রধানের অপসারণ ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মালদায়

Trinamool Congress factionalism in Malda Chanchal প্রধানের অপসারণ ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মালদায়

রণজিৎ দাস, মালদা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : দলীয় প্রধানকে অপসারণ করতে হুইপ জারি ব্লক সভাপতির। প্রধানের বিপক্ষে ভোট দিতে নির্দেশ দলীয় সদস্যদের। চাঁচল ১ নং ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা ঘিরে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের ফাটল। হুইপ জারির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী। এদিকে ‘কেউ এই ধরনের হুইপ জারি করতে পারেন না। প্রমাণ হলেই ব্যবস্থা নেবে দল’, হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর।

চাঁচল ১ নং ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা (Trinamool Congress factionalism in Malda Chanchal)

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৭টি , কংগ্রেস ৮টি ও সিপিএম ৪টি আসন দখল করে। পরে কংগ্রেসের ৪ জন সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেস থেকে আসা পপি দাস। সম্প্রতি প্রধানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা রাখেন দলের সদস্যদের একাংশ। পাশাপাশি কংগ্রেস এবং সিপিএমের সদস্যদের নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন তাঁরা। মঙ্গলবার ছিল সেই অনাস্থার তলবি সভা। তবে তলবি সভার এক দিন আগে তৃণমূল সদস্যদের হুইপ জারি করেন চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী। প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অপসারিত তৃণমূল প্রধান পপি দাস বলেন, ‘গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।’ তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগগুলো আনা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। হুইপ জারির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য হায়াতুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘দলের নির্দেশ আছে তাই প্রধানের বিপক্ষে ভোট দিয়েছি।’

চাঁচল ১ নং ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা (Trinamool Congress factionalism in Malda Chanchal)

চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তীও নির্দেশ জারি করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই প্রধানকে নিয়ে বারংবার সমস্যা হচ্ছিল। তাই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। প্রধানকে বহুবার বোঝানো হলেও প্রধান পঞ্চায়েত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে ঠিকাদারদের নিয়ে পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন।’

এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ‘প্রধানের অপসারণের কথা শুনেছি। কে কেন এই হুইপ জারি করল বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দল এই ধরনের জিনিস বরদাস্ত করে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

——–

Published by Subhasish Mandal

SHARE
RELATED ARTICLES
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it

Most Popular