আজ মহালয়া (Mahalaya)। পিতৃপক্ষ শেষে দেবীপক্ষের সূচনা। বাংলার ঘাটে ঘাটে ‘পিতৃ তর্পণ’-এর জন্য ভোর থেকে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এই পিতৃতর্পণ করা হয় পূর্বপুরুষদের শান্তিপূর্ণ অনন্ত জীবনের জন্য। পূর্বপুরুষদের স্মরণে এই দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ তর্পণ করেন।
আরজি কর আবহেই পিতৃতর্পণ
এদিন জলাশয়ে দাঁড়িয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে বৈদিক মন্ত্রচারণ করে জলদান করার প্রাচীন রীতি আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয়। এদিন তর্পণের জন্য কলকাতা এবং জেলাগুলিতে ঘাটে ঘাটে ভিড় করেন অগণিত মানুষ৷ তাই পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘাটগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৷
আরজি করের আবহে সকলের মনে বিষণ্ণতা। তারই মাঝে পিতৃপুরুষকে জলদান করতে ভোর থেকেই বাবুঘাট, বাগবাজার, নিমতলা ঘাটে মানুষের সমাগম দেখা গেল। একটানা বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই এদিন চলে তর্পণ। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনাকে এড়াতে টহলদারি চলে ঘাটে ঘাটে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে লাইফ জ্যাকেট, বোট প্রভৃতি। এর পাশাপাশি ক্রমাগত মাইকিংও করা হয়।
আরও পড়ুন: RG Kar Case: রাজ্যজুড়ে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র চিকিৎসকদের
পিতৃপুরুষের প্রতি তর্পণের ভিড়েও এ দিন উঠল তিলোত্তমার বিচারের দাবি। তিলোত্তমার আত্মার শান্তি কামনায় এদিন বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে গণতর্পণ করেন একদল মানুষ। অন্যদিকে, নতুন করে আন্দোলনের ছবি দেখা যায় শ্রীরামপুরে। দেবীপক্ষকে স্বাগত জানাতে ভোর থেকেই ঢাক নিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন মহিলারা। শ্রীরামপুর বটতলা থেকে শুরু হয় মিছিল।