রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের ঘটনায় বিগত কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীকে (Soham Chakraborty) ঘিরে। সিসিটিভি ফুটেজে সোহমের মারধর করার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন ওঠে, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কীভাবে তিনি এই কাজ করতে পারলেন! আদালতেও পৌঁছে যায় বিষয়টি। এই চড়কাণ্ড মামলাতেই বৃহস্পতিবার স্বস্তি পেলেন সোহম।
কী ঘটেছিল?
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউটাউনের এক রেস্তরাঁয় শুটিং করছিলেন সোহম। সেই সময়ই রেস্তরাঁর সামনে শুটিং ইউনিটের গাড়ি রাখা নিয়ে সোহমের (Soham Chakraborty) নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাধে রেস্তরাঁ মালিকের। ওই রেস্তরাঁর মালিককে লাথি-ঘুষি মারার অভিযোগ ওঠে বাংলা ছবির নায়ক তথা চণ্ডিপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে হুমকির মুখে পড়ছেন বলেও অভিযোগ। তাই নিরাপত্তা আর্জি ও তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হনন রেস্তোরাঁর মালিক।
জামিন পেলেন সোহম
ঘটনার প্রেক্ষিতে পরে ক্ষমাও চেয়ে নেন বিধায়ক-অভিনেতা সোহম (Soham Chakraborty)। এবার এই চড়কাণ্ডে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোহম। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানির অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। এরপর আদালত ভবনেই সরকারি আইনজীবীদের কক্ষে ঢুকে যান সোহম। সেখানে প্রায় ২ ঘণ্টা বসেছিলেন তিনি। আর এখান থেকেই ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সোহম।
আরও পড়ুন : Rituparna Sengupta : এড়িয়েছিলেন হাজিরা! ফের ED’র ডাক পেলেন ঋতুপর্ণা
ফের কোন বিতর্ক?
একজন ফৌজদারি মামলার আসামী কী করে সরকারি আইনজীবীদের কক্ষে বসে থাকতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন অন্যান্য আইনজীবীরা। প্রশ্ন তুলতে থাকে বিরোধীরাও। তবে আইনজীবীর দাবি, বারাসতের বাইরে যাননি সোহম (Soham Chakraborty)। বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে বুঝতে পেরে বেলা ১২টা নাগাদ ওই কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সোহম। জানা যায়, বেলা ১ টায় জামিন মঞ্জুর হয় তাঁর। এখন প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারির আশঙ্কা করেই কি তড়িঘড়ি আগাম জামিনের পদক্ষেপ করলেন সোহম?