পুনে পোর্শেকাণ্ডে (Pune Crash) একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। সোমবারই এই মামলায় এক পিওন সহ দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ১৭ বছরের নাবালকের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ইচ্ছাকৃতভাবে বদল করার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে দু’জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে পেরে ফেলার অভিযোগ রয়েছে ওই নাবালকের বিরুদ্ধে। সেই নাবালক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়েছিল কিনা তার রক্ত পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসক টাকার বিনিময়ে এই অপরাধ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
কী জানা যাচ্ছে?
সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, Sassoon General Hospital-এর দুই চিকিৎসকের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রক্তের নমুনাতে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। যার ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। গত ১৯মে রাতের ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার (Pune Crash) পর ওই নাবালককে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য Sassoon General Hospital-এ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সোমবার অতুল ঘাটকাম্বলে নামে হাসপাতালের এক কর্মীকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়। হেফাজতে নেওয়া হয়, হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডক্টর অজয় তাওয়ারে এবং চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর শ্রীহরি হালনোরকে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : Delhi-Varanasi IndiGo : বিমানে বোমা? বিস্ফোরণের হুমকিতে আতঙ্ক দিল্লি বিমানবন্দরে
ডক্টর তাওয়ারের অধীনে কর্মরত হালনোরের থেকে আড়াই লক্ষ টাকা এবং ঘাটকাম্বলের থেকে বাকি ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুনে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। উল্লেখ্য, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে পরপর দু’টি বারে মদ খেতে দেখা গিয়েছিল (Pune Crash) অভিযুক্ত ওই নাবালককে। তারপরও, তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছিল, নাবালকের রক্তে অ্যালকোহল পাওয়া যায়নি। আর এখান থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে আরও। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নাবালকের রক্তের নমুনা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।