রাজস্থান থেকে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করেছে। সাধারণভাবে যেদিন বর্ষা বিদায় নেয়, তার থেকে আটদিন পরে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করেছে। অন্যদিকে বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করে ৮ অক্টোবরের পরে। এবার সেই প্রক্রিয়া খানিক বিলম্বিত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে দুর্গা পুজোও এবার অনেকটাই পরে। সেই কারণে পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকেই দেখছেন না। আবার অক্টোবর মাস আবহাওয়া দফতরের খাতায় ঘূর্ণিঝড়ের মাস যে কারণে মাসের শুরুটা ঘূর্ণিঝড় দিয়ে শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদদের একাংশ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নাগাদ উত্তর আন্দামান সাগর এবং সন্নিহিত এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এর প্রভাবে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় উত্তর-আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যার অভিমুখ হতে পারে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে। সম্ভাব্য এই নিম্নচাপের কারণে পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটলেও, পুজোর দিনগুলিতে আবহাওয়া এখনও পর্যন্ত শুষ্কই থাকবে বলে অনুমান করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে অক্টোবরের প্রথম ১৫ টা দিন বৃষ্টি যে ভোগাবে, সে ব্যাপারে তাঁরা একমত।
আবহাওয়াবিদদের একাংশ মনে করছেন, মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে এবার বাংলা থেকে বর্ষায় বিদায় নিতে পারে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিও হতে পারে। তবে সপ্তমী থেকে দশমী অর্থাৎ ২১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তেমন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস নেই। বলা ভাল আবহাওয়াবিদরা এত আগে থেকে পূর্বাভাসের পক্ষপাতিও নন। মৌসুমী বায়ু বিদায় নিলে রাজ্যে পশ্চিমী হাওয়ার প্রভাব বাড়বে। কমতে থাকবে রাতের তাপমাত্রা। এখন পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে রাজ্য থেকে কবে মৌসুমী বায়ু বিদায় নেয় তার ওপরে।
এবার পুজো কি ভাসাবে, হবে মুষলধারায় বৃষ্টি? নাকি রাতভর প্যান্ডেলে প্যান্ডেল ঘোরা
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it