৮ই সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র। কিন্তু রাজভবন-নবান্নের সংঘর্ষের কারণে তাঁর শপথগ্রহণ নেওয়া সম্ভব হয়নি। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথের বিষয়ে পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। রবিবার বিকেলে নিজের পায়ের চিকিৎসা করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান তিনি। সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে কালীঘাটের বাড়িতে ফিরলে তাঁকে ফোন করেন পরিষদীয়মন্ত্রী। ঠিক কী কারণে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না, তা বিস্তারিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান পরিষদীয়মন্ত্রী। আদতে, অভিযোগের সুরেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। কী ভাবে তাঁর দফতর এড়িয়ে বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চেয়েছিল রাজভবন তাও মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়।
তারপরেই শোভনদেবকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, ‘‘অবিলম্বে রাজ্যপালকে চিঠি দিন। বলুন বিধায়ক শপথ না নিতে পারলে এলাকার মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে।’’১২ই সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে যান। তারপর থেকেই শপথগ্রহণ ঘিরে দড়ি টানাটানি চলেছে পরিষদীয় দফতর ও রাজভবনের মধ্যে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর শোভনদেব বলেন, ‘‘আমি যত দ্রুত সম্ভব চিঠি দিচ্ছি। রাজ্যপাল বিদেশ যাচ্ছেন। এই চিঠি তার আগেই যাতে রাজ্যপালের হাতে পৌঁছয় সেই চেষ্টা করব। চিঠির খবর তিনি পাবেনই। চাইলে তিনি স্পিকারকে শপথ নেওয়ার কথা বলে দিতে পারেন। এ বার চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে জানাব নির্মলচন্দ্র ধূপগুড়ির নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাঁর শপথগ্রহণ আটকে থাকায় এলাকায় পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। আমি আগেও আপনাকে চিঠি দিয়েছিলাম। অবিলম্বে শপথের ব্যবস্থা করা হোক।’’ সোমবার দিল্লি রওনা হচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সেখান থেকেই আমেরিকায় যাবেন তিনি। কলকাতায় ফিরতে পারেন ৭ই অক্টোবর। তাই সোমবারের মধ্যে রাজভবন নির্মলচন্দ্রর শপথে সায় না দিলে তা আরও কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে। তাই দ্রুত রাজভবনের অনুমতি পেতে রাতেই পরিষদীয় দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ৮ই সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন নির্মলচন্দ্র। কিন্তু রাজভবন-নবান্নের সংঘর্ষের কারণে তাঁর শপথগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। শনিবার উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়নি। পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে গিয়ে একক ভাবে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর আয়োজন করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু পরিষদীয় দফতর সায় না দেওয়ায় সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি রাজভবনের তরফে। পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ, কোনও বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাতে হলে পরিষদীয় দফতরের ফাইলে রাজভবনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সেই ফাইল ফিরে এলে দফতরের তরফেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিধায়ক পদের শপথের জন্য রাজ্যপালকে চিঠি দিতে মন্ত্রী শোভনদেবকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it