সংসদ ভবনই গণতন্ত্রের মন্দির। পুরনো সংসদ ভবন থেকে শেষ বার্তা দিতে গিয়ে সেখানকার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য নিয়ে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন পুরনো সংসদ ভবন তৈরি হয়েছিল বিদেশীদের মতাদর্শ মেনে। তাতে ভারতীয় শ্রমিকদের শ্রম ছিল।
এবার এক নতুন দিকে যাত্রা শুরু করতে চলেছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন নতুন সংসদ যাত্রা ঐতিহাসিক হতে চলেছে। ইতিহাসকে স্মরণ করে আমরা এই ঐতিহাসিক ভবন থেকে বিদায় নেব। বিদেশীরা সংসদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেও, এই সংসদ ভবন গড়ে তুলতে ভারতীয়দের শ্রম, অর্থ, বল ছিল।’
পুরনো সংসদ ভবনের ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছেন পুরনো সংসদ ভবনের প্রতিটি দেওয়াল, প্রতিটি চেয়ার, প্রতিটি কোনায় জড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশের কোনও না কোনও ইতিহাস। স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম দিন থেকে সংবিধান কার্যকর সব কিছুর সাক্ষী থেকেছে এই সংসদ ভবন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন সংসদভবন একটা পরিবারের মতো। এখানে রচিত হয়েছে ভারতের স্বর্নময় অধ্যায়। গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের গণতন্ত্র পরিচিত হয়েছে এই গণতন্ত্রের কারণেই। পুরনো সংসদ ভবনের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদ হামলার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তিনি বলেছেন জঙ্গিদের হাত থেকে প্রাণ দিয়ে যাঁরা সংসদ ভবনের মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন তাঁদের প্রতি প্রণাম। তাঁদের বলিদানকে স্মরণ রেখেই এগিয়ে যেতে হবে।
সেই সঙ্গে জি ২০ সম্মেলনের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছেন জি-২০ সম্মেলনের সাফল্য কারোর একার নয় বা কোনও ব্যক্তি বা দলের নয়। এই সাফল্য সকলের। সকলের সমবেত চেষ্টাতেই জি-২০ সম্মেলন সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারতের সভাপতিত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা স্থায়ী সদস্য পদ পেয়েছে যা অত্যন্ত গর্বের বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন জি-২০ সম্মেলনের মতো স্পিকারদের নিয়েও সম্মেলন হবে পি-২০। ভারত আজ বিশ্বমিত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পুরনো সংসদ ভবন অনেক ইতিহাস গড়েছে অনেক ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সাক্ষী হয়ে থেকেছে। পুরনো সংসদ ভবন ছেড়ে যাওয়া সকলের কাছেই আবেগপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংসদ ভবনই গণতন্ত্রের মন্দির, পুরনো সংসদ ভবন নতুনদের কাছে অনুপ্রেরণা হবে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it