চোট সারিয়ে সরাসরি সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতীয় দলে ফিরেছেন কেএল রাহুল। শুধু ব্যাট হাতেই নয় একইসঙ্গে উইকেটের পি্ছনে গ্লাভস হাতেও টিম ম্যানেজমেন্টকে ভরসা দিচ্ছেন রাহুল। পাকিস্তান ম্যাচে যদিও ব্যাটসম্যান স্টার মার্কস নিয়ে পাশ করেন তবে শ্রীলঙ্কা ম্যাচে লেটার মার্কস পেলেন উইকেট কিপার রাহুল।
এরআগেও ভারতীয় দলের উইকেট কিপারের ভূমিকায় দেখা গেছে কর্ণাটকী খেলোয়াড়কে। তবে এশিয়া কাপে অনেক আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে তাকে, এই বিষয়টা অবশ্যই ইতিবাচক দিক ভারতীয় দলের জন্য ।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত কিপিং করেছেন রাহুল। সাফল্য মিলেছে জাতীয় দলেও। এ বারের এশিয়া কাপে যেন নতুন রাহুলকে পেয়েছে ভারতীয় দল।পাকিস্তান ম্যাচে শ্রেয়সের জায়গায় প্রবেশ রাহুলের। আর প্রত্যাবর্তনেই সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে নজর কাড়লেন অনবদ্য কিপিংয়ে।
স্পিন-সহায়ক পিচে রবীন্দ্র জাডেজার বোলিং কিপিং করা যথেষ্ঠভাবে চ্যালেঞ্জিং। তার ওপর রয়েছেন কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনারও। এই ম্যাচে তৃতীয় স্পিনার হিসাবে খেলেছিলেন অক্ষর প্যাটেল। তিন স্পিনারের বোলিংয়ের কিপিং সফলভাবে করেছেন রাহুল। এই প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘চোট পাওয়ার আগেও আমি উইকেট কিপারের ভূমিকা পালন করেছি। ২০১৯ সাল থেকে একভাবে না হলেও কিপিং করেছিলাম। ঋষভ পন্থ চোট পাওয়ার পর আমাকে টিম ম্যানেজেমন্টের পক্ষ থেকে কিপিং এবং মিডল অর্ডারে খেলার কথা জানানো হয়। যখন আমি চোট পেয়ে এনসিএ তে রিহ্যাব করছিলাম তারপর থেকে কিপিংয়ের দক্ষতাকে উন্নত করার চেষ্টা করেছি।’
শ্রীলঙ্কার ম্যাচে কুলদীপের বোলিংয়ে সমর বিক্রমা ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে লাইন মিস করেন। অনেক কিপারই ‘লোভে’ পড়ে অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করেন। বল হাতে জমাতে সমস্যা হয়। স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস হয়। রাহুল ঠান্ডা মাথায় বল ধরেন এবং আউটও করেন। এই প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রাহুল বলেন, ‘আপনি যখন স্টাম্পের পিছনে থাকেন, তখন ব্যাটসম্যান কী করছে সে সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকে এবং আমি এই বার্তাটি দলকে দিয়েছিলাম। ভাগ্যক্রমে এটি কুলদীপের জন্য কাজ করেছিল।’
ম্যাচ জয়ের প্রসঙ্গে কেএল রাহুল বলেন, ‘এটা একটা দারুণ জয়। পুরো ম্যাচেই আমাদের নিজেদের উপর ভরসা ছিল। আমরা ১০০ ওভারের জন্য মাঠে ছিলাম না, কিন্তু আমরা সেখানে যত ওভারই ছিলাম তাতে নিজেদের প্রমাণ করেছি। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছি, এটা দেখেই খুব ভালো লাগছে। আমরা এক ধাপ উঠে এসেছি এবং এটি একটি দল হিসাবে আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য।’
গত ১ মে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ডান পায়ে চোট পেয়েছিলেন রাহুল। সেইজন্য তাঁর পক্ষে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা সম্ভব হয়নি। ৩১ বছরের এই ক্রিকেটারের চোটের জন্য অস্ত্রোপচার হয়। আর সেই চোট সারিয়ে এশিয়া কাপে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করলেন রাহুল।
ব্যাটের পর কিপিংয়েও লেটার মার্কস, সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন রাহুল
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it