রনজিৎ দাশ, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, মালদা: লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম হাতে নিয়ে ইটভাটায় ছুটলেন খোদ চাঁচলের মহকুমা শাসক। গ্রামীণ এলাকার মহিলারাও রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে তাদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রশাসনের এই পদক্ষেপ।
Lakshmir Bhandar: SDO did was amazing
শনিবার দুপুরে চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় তাঁর দপ্তর থেকে সটান বেরিয়ে পড়েন গ্রাম্য এলাকায় প্রকৃত লক্ষ্মীদের সন্ধানে। ইটভাটায় গিয়ে সেখানকার মহিলা শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন। ’লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে তারা আবেদন করেছেন কিনা সেই নিয়ে কথা বলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যারা এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত এখনও হননি, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পত্র। এছাড়া যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এখনও পর্যন্ত নেই তাদেরকে দ্রুত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। প্রশাসনের দেওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন পত্র পূরণ করে মহকুমা শাসকের হাতে তুলে দেন মহিলা শ্রমিকেরা।
সরকারি প্রকল্পের ফর্ম হাতে নিয়ে লক্ষ্মীর দুয়ারে মহাকুমাশাসক
আবেদনকারী টাকা পাবে বলে আশ্বাস দেন। এদিনের কর্মসূচিতে চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাঁচল ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমীরণ ভট্টাচার্য, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোজিৎ নস্কর ও সোমনাথ মান্না, সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
Lakshmir Bhandar: SDO did was amazing
এ বিষয়ে চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় জানিয়েছেন,অনেক শ্রমজীবি মহিলা আছে,যারা কাজ ছেড়ে আসতে পারেনা ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে।মহিলারা হাতের নাগালে যেন সেই সুবিধা পায়,তাই ইট ভাটায় লক্ষ্ণীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম নিয়ে এসেছি। প্রায় ২০ জন মহিলা শ্রমিক এই প্রকল্প আবেদন করলেন বলে জানান মহকুমা শাসক।
প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইটভাটার শ্রমিকেরা। মানুষের জন্য সরকার যেন দুয়ারে এসেছে এমনটাই অনুভূতি হল বলে জানিয়েছেন ইটভাটার শ্রমিক আখতারী খাতুন।
Published by Samyajit Ghosh