Friday, November 8, 2024
HomeদেশLife Story Of Vladimir Putin : ‘পুতিন’-এর জীবন ‘রহস্যের’ চেয়ে কম...

Life Story Of Vladimir Putin : ‘পুতিন’-এর জীবন ‘রহস্যের’ চেয়ে কম নয়

ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা

Life Story Of Vladimir Putin

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পর থেকে সর্বত্র রাশিয়ার নিন্দার ঝড় বইছে। বলা হচ্ছে, ইউক্রেন হামলার আগে ক্রিমিয়া ও রোমানিয়ায় ক্ষমতা দেখিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে ইউক্রেন হামলার পরে, পুতিন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জীবন একেবারেই আলাদা। চলুন জেনে নিই পুতিনের পরিবার সম্পর্কে, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের অজানা কাহিনী।

রাশিয়ার লেনিনগ্রাদে 1952 সালে জন্মগ্রহণ করেন

ভ্লাদিমির পুতিন ৭ অক্টোবর ১৯৫২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশিয়ান প্রজাতন্ত্রের লেনিনগ্রাদে (বর্তমান সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ভ্লাদিমির স্পিরিডোনোভিচ পুতিন এবং মায়ের নাম মারিয়া ইভানোভনা শেলমোভা। তাঁর মা ছিলেন একজন কারখানার কর্মী এবং বাবা সোভিয়েত নৌবাহিনীতে কাজ করতেন।

তাঁর বাবা ১৯৩০-এর দশকে সাবমেরিন ফ্লিটে কাজ করেছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শত্রু অ্যামবুশ স্কোয়াডে যোগ দিয়েছিলেন। যুদ্ধের পর তিনি একটি কারখানায় ফোরম্যান হিসেবে কাজ করেন। ভ্লাদিমির ছিলেন তার পিতার তৃতীয় পুত্র। তার দুই বড় ভাই শৈশবেই মারা যান। ১৯৭৫ সালে পুতিন লেনিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন।

পুতিন ১৯৮৩ সালে বিয়ে করেন, ২০১৪ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়

প্রেসিডেন্ট পুতিন ১৯৮৩ সালে লুডমিলা আলেকজান্দ্রোভনা ওচেরেটনায়াকে বিয়ে করেছিলেন।৩০ বছর একসাথে থাকার পর, ২০১৪ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পুতিন ও লিউডমিলার দুই মেয়ে- মারিয়া ও ক্যাটরিনা। মারিয়া ১৯৮৫ সালে লেনিনগ্রাদে জন্মগ্রহণ করেন এবং ক্যাটরিনা ১৯৮৬ সালে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। পুতিনের থেকে আলাদা হওয়ার পর, লুডমিলা তার থেকে ২১ বছরের ছোট একজন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইংরেজি শিখেছেন পুতিন

স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি কেজিবিতে কাজ শুরু করেন। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। কেজিবিতে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি লেনিনগ্রাদে বিদেশি এবং কনস্যুলার কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পান। একই সঙ্গে রুশ ভাষা ছাড়াও জার্মান ভাষাও জানেন পুতিন।

পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইংরেজি শিখেছেন বলে জানা গেছে। আনুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য তিনি এখনও দোভাষীর সাহায্য নেন। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার সময় পুতিন ২০০৩ সালে বাকিংহাম প্যালেসে একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে সর্বপ্রথম ইংরেজিতে প্রকাশ্যে বক্তৃতা করেছিলেন।

লিউডমিলা একজন ভাষাবিদ

লুডমিলা, যিনি রাশিয়ার ফার্স্ট লেডি ছিলেন, পুতিনের থেকে বিচ্ছেদের সময় বলেছিলেন, ‘আমাদের বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে যে আমরা একে অপরকে খুব কমই দেখতে পাচ্ছি। ভ্লাদিমির তার কাজে ব্যস্ত। আমাদের সন্তানরাও বড় হয়েছে এবং নিজেদের জীবনযাপন করছে। এবং আমি প্রচার পছন্দ করি না।’ লিউডমিলা একজন ভাষাবিদ। তিনি লেনিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্প্যানিশ ভাষায় স্নাতক হন। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত লেনিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের জার্মান ভাষা শেখাতেন।

পুতিনের মেয়েরা নাম পরিবর্তন করে পড়াশোনা করেছে

পুতিন এবং লিউডমিলার কন্যাদের নাম তাদের ঠাকুমার নামে রাখা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে পুতিনের পরিবার যখন মস্কোতে চলে যায়, তখন মেয়েরা একটি জার্মান-ভাষী স্কুলে ভর্তি হয়। পুতিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর, কন্যাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং শিক্ষকরা তাদের উভয়কে বাড়িতে পড়াতে আসতে শুরু করেন। পরে দুই মেয়েই ভুয়া পরিচয় দিয়ে পড়াশোনা শেষ করে।

পুতিনের দুই মেয়েই ভুয়া পরিচয় দিয়ে নাম পরিবর্তন করে কলেজে লেখাপড়া করেছেন। মারিয়া প্রথমে জীববিদ্যা এবং তারপর চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করেন। পুতিনের দ্বিতীয় কন্যা ক্যাটরিনা টিখোনোভা। ক্যাটরিনা পদার্থবিদ্যা এবং গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। তিনি একজন অ্যাক্রোব্যাট নৃত্যশিল্পীও বটে। ক্যাটরিনা মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান।

ভ্লাদিমির পুতিনের জীবন কাহিনী

আলিনা একজন রাশিয়ান রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ম্যানেজার এবং অবসরপ্রাপ্ত রিদমিক জিমন্যাস্ট। আলিনাকে সর্বকালের অন্যতম সফল জিমন্যাস্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি তার ক্যারিয়ারে দুটি অলিম্পিক পদক, 14টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং 21টি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ পদক জিতেছেন। বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন ও লিউডমিলার বিবাহবিচ্ছেদের পর অ্যালিনাকে ‘রাশিয়ার ফার্স্ট লেডি’ বলা হত। তারপরে আলিনা প্রকাশ্যে রাশিয়ান রাষ্ট্রপতির জীবনসঙ্গিনী হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন।

ভ্লাদিমির পুতিন ১৯৯১ সালে রাজনীতিতে পা রাখেন

ভ্লাদিমির পুতিন সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি-তে একজন অফিসার হিসেবে ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তাকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়। ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের পর, তিনি তার জন্ম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে রাজনীতিতে পা রাখেন।তিনি ১৯৯৬ সালে মস্কোতে রাষ্ট্রপতি বরিস ইয়েলতসিনের প্রশাসনে যোগদান করেন এবং ইয়েলৎসিনের অপ্রত্যাশিত পদত্যাগের পর ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন। পুতিন ২০০০ এবং তারপর ২০০৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হন। রাশিয়ান সংবিধান অনুসারে নির্ধারিত মেয়াদের সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি ২০০৮ সালে টানা তৃতীয়বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাধা তৈরি হয় ।

২০১৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন

২০০৮ সালে দিমিত্রি মেদভেদেভ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে, আইনের পরিবর্তনে করে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর থেকে ছয় বছরে বৃদ্ধি করা হয়। এবং পুতিন ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসাবে তৃতীয় বার লড়াইয়ে নামবেন। তার এই ঘোষণার পর রাশিয়ার বেশ কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। তিনি ২০১২ সালের মার্চ মাসে এই নির্বাচনে জয়ী হন এবং বর্তমানে ৬ বছরের মেয়াদ বৃদ্ধি করে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি পরবর্তী মেয়াদের জন্যও রাশিয়ার রাস্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

Life Story Of Vladimir Putin

Publish by Monirul Hossain

আর ও পড়ুন Ukraine Russia War Live Update : ইউক্রেনের চেরনিহিভ তৈল শোধনাগারে রাশিয়ার হামলা, খেরসন শহরও দখল করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী

SHARE
RELATED ARTICLES
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it

Most Popular