অমিত সরকার, কোচবিহার, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, Tista River ‘নদীর পাড়ে বাস, দুঃখ বারোমাস’…এই কথাটাই খাঁটি হয়ে দাঁড়িয়েছে মেখলিগঞ্জ ৭২ চর এলাকার বাসিন্দাদের কাছে। কারণ, দু’দশকের উপর মেখলিগঞ্জ থেকে কুচুলীবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিমি নদীর উপর কোন নদী বাঁধ নেই। ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে জলে ভেসে থাকতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। কখনও ডিভিসি (DVC) জল ছাড়ছে, কখনও আবার তিস্তা প্লাবিত হচ্ছে, কখনও বা উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি…. জনজীবন অতিষ্ঠ তিস্তা তীরের বাসিন্দাদের।
‘বালির বাঁধ’ ভাঙার দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের Tista River
তবে শুধু কুচলীবাড়ি নয় ভিআইপি মোড় সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা এই দুর্ভোগের শিকার। প্রশাসন নিরুত্তর। নিরুপায় এলাকার বাসিন্দারা। নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলে দিয়েছেন বাঁধ। কিন্তু সে বাঁধ বালির বাঁধের সমান। জলের তোড়ে খড়কুটোর মত কখন হয়তো ভেসে যাবে সেই বাঁধ। বাঁধ ভাঙার দুশ্চিন্তায় রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না এলাকার বাসিন্দারা।
বন্যার জল নেমে যাওয়ার পরে নতুন করে শুরু হয় চিরকালীন ‘তিস্তা জীবন’ Tista River
তবে তিস্তা কিন্তু কোনও ভৌগোলিক নদী নয়। তিস্তা মানুষের নদী। তিব্বত থেকে সামান্য দূরে, তিস্তার অববাহিকার বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন জনজাতির বাস। এই সমস্ত মানুষদের নতুন-নতুন জীবিকা দিয়েছে তিস্তা। এটা ঠিক মাঝেমাঝেই তিস্তা বন্যায় ভাসায় তাঁর অববাহিকায় আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের। বন্যার জল নেমে যাওয়ার পরে নতুন করে শুরু হয় চিরকালীন ‘তিস্তা জীবন’। নানান প্রাকৃতিক কারণে বর্তমানে তিস্তা তাঁর নিজের ভিতর থেকে তৈরি করে তুলেছে বড় বড় চর। সেই চরের জমি অত্যন্ত উর্বর ও নরম বলে সহজে চাষ করা যায়।
ঢের আশ্বাস, কাজের কাজ কিছুই হয়নি Tista River
কুচলীবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ তাদের সমস্যার কথা স্থানীয় বিধায়ক পরেশ চন্দ্র অধিকারীকে জানানোর পরে তিনি নিজে ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন, এমনকি বাঁধ তৈরির আশ্বাসও দিয়েছেন l কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আরও পড়ুন : Bansberia Municipality ভোটের নামে প্রহসন! বাঁশবেড়িয়ায় বামেদের প্রতিবাদের ভাষা দেওয়াল লিখন
____
Published by Julekha Nasrin